খুলনার তেরখাদা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আবহমান গ্রাম বাংলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতা। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য দেখতে ভিড় জামায় হাজারো মানুষ। গতকাল বিকালে উপজেলা সদরের ইখড়ি গরুর হাটের পুর্ব পাশে গুজিমারি বিলের বিস্তীর্ন মাঠে ইখড়ি উওরপাড়া যুব আদর্শ ক্লাবের উদ্যোগে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা নানা রং ও আকারের ২৪ টি ঘোড়া প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়। এ উপলক্ষ্যে এলাকায় বসে গ্রামীণ মেলা।মেলায় হরক রকমের পন্য সাজিয়ে বসে দোকানিরা। উপজেলা সদর এলাকা দর্শনার্থী অর্নব দাস বলেন, আগে বিভিন্ন স্থানে খেলাধুলা দেখা যেতো।কিন্তু এখন আর সচারাচর দেখা যায় না। দীর্ঘ দিন পরে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতা দেখতে পেয়ে খুব খুশি লাগছে। দৌড় অংশ নেওয়া ঘোড়ার মালিকরা জানান, ঘোড়া পালন করা অনেক ব্যয় বহুল, তবু গ্রাম বাংলার বিলুপ্ত প্রায় সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ও মানুষকে সুষ্ঠু বিনোদন দিতে পারাটাই আমাদের কাছে আনন্দের। আমরা অনেক টাকা ব্যয় করে এই ঘোড়া লালন পালন করি। ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতা বেশি বেশি না হলে আমরা এ সংস্কৃতি বেশি দিন ধরে রাখতে পারব না। ঘোড়া দৌড় আয়োজক কমিটির আমিনুল ইসলাম বলেন, সময়ের আবর্তনে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতা বিলুপ্ত প্রায়। আমরা এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছি। দৌড় প্রতিযোগীতা বাছাই শেষে সেরা ৪ টি ঘোড়ার মালিককে পুরস্কৃত করা হয়। চুড়ান্ত লাড়াইয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে নাজমুল শিকদারের ঘোড়া, ২য় স্থান মোমিনুলের ঘোড়া, ৩য় স্থান রাব্বির ঘোড়া ও ৪র্থ স্থান শিমুলের ঘোড়া। বিজয়ী ঘোড়ার মালিকদের প্রাইজবন্ড উপহার দেওয়া হয়। প্রতিযোগীতায় উপজেলা বিএনপির সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক চৌধুরী কাওসার আলী, বিএনপি নেতা সাজ্জাত হোসেন নান্টা, শরীফ নাঈমুল হক, বিল্লাল হোসেন, মিল্টান হোসেন মুন্সি, খান মোস্তাক আহমেদ, আজিবর শেখ, সেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহাগ মুন্সি, শামীম আহমেদ রমিজ, ছাত্রদল নেতা আমিনুল ইসলাম, চৌধুরী আসাবুর রহমান, সাব্বির আহমেদ টগর উপস্থিত ছিলেন।