মল্লিক জামাল, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বরগুনার পাথরঘাটায় জমিজমার পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আঁধারে ঘরের সিঁধ কেটে ৭মাসের শিশুকে জিম্মি করে ডাকাতির অভিযোগ উঠছে।
এমন ঘটনা ঘটেছে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনা পাড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের গফফার মিয়ার বাড়িতে।
গত ২৬ এপ্রিল২০২৫ তারিখে পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই মারামারির ঘটনায় সাত জন ব্যক্তি আহত হয়।
ঐ ঘটনাকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দুই পক্ষকে মীমাংসা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে থামিয়ে দেয়। কিন্তু অপর পক্ষের মোঃ খলিলুর রহমান গোপনে মামলা দিয়ে গফফার মিয়ার পক্ষকে পুলিশের মাধ্যমে ধরিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেয়।
গফফার মিয়ারসহ তিন জনকে জেলে পাঠিয়ে দিয়ে রাতের আঁধারে ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে উঠে ডাকাতের দল। ৭ মাসের শিশুকে জিম্মি করে ঘরের মালামালসহ টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী গফফার মিয়ার স্ত্রী খাদিজা জানান, প্রতিপক্ষের সাথে পূর্বে জমি জমা নিয়া বিরোধ থাকায় দুটি মামলা মোকাদ্দমা চলমান।
প্রতিপক্ষের দায়ের করা মামলায় আমার স্বামী সহ তিনজন পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে যায়। এবং বাকী গ্রেফতারের ভয়ে পলাতক।
প্রতিপক্ষ খলিল গং ভাল ভাবে আমাদেরকে জনবলশূন্য জেনে আমার ঘরে ডাকাতি করার প্রস্তুতি গ্রহন করে।
ডাকাতির দিন আমি স্থানীয় নাচনাপাড়া বাজারস্থ আমার ননদ কুলসুমের বাসায় ছিলাম। আমার মেয়েসহ শ্বশুর শাশুড়ি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাইয়া পড়িলে ডাকাতেরা ঘটনার সময় অনুমান রাত আড়াইটার দিকে আমার কাচা বসত ঘরের পশ্চিম পাশে সিঁধ কাটিয়া বাংলা দাও, বটি দাও, জি, আই পাইপ, রড ইত্যাদি নিয়ে উদ্দেশ্যে চার জন ঘরে প্রবেশ করে।
ঘরে আমার মেয়ে সুমাইয়া শিশু সন্তান থাকায় ঘরের পূর্ব পাশে বারান্দায় বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালানো থাকায় লুঙ্গি পরিহিত কম বয়সী ১ এক ডাকাত লাইট নিভানোর জন্য দ্রুত সুমাইয়া রুমে প্রবেশ করে।
পুরানো কাপড় রাখার একটি ঝুড়ি ঐ ডাকাতের পায়ে লেগে পড়ে যাওয়ার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং তখন ঐ ডাকাত রুমের লাইট বন্ধ করে দিয়ে সুমাইয়া কে খুনের ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলে। খাদিজার শ্বশুর শাশুড়ি ৯০ বছরের বেশি বয়স্ক এবং কানে তেমন কিছুই শোনে না।তাদেরকে অন্যান্য ডাকাতরা জব্দ করিয়া ফালায়।
ততক্ষনে ডাকাতদের কথাবার্তা শুনে কন্ঠস্বরে সুমাইয়া ডাকাতদেরকে চিনতে পারে। তাদের ভয়ে স্বাক্ষীরা কোন ডাকচিৎকার দিতে পারে নাই। আমার স্বামী গফফার মিয়া বিকাশ ও নগদে ব্যবসা থাকায় ব্যবসার টাকা বাসায় থাকে।
টাকার কথা ডাকাতরা জেনে ইউনুচ সুমাইয়ার কাছে টাকা কোথায় রেখেছে জিজ্ঞাসা করায় তার বিছানার পাশে বাচ্চার ডায়পার রাখা ব্যাগে টাকা আছে বলে প্রান ভয়ে দেখালে ব্যাগ থেকে ২,২৫,০০০/- টাকা নিয়া নেয়। গলায় থাকা স্বর্নের চেইন মূল্য ১,৪০,০০০/- টাকা ও কানের ঝুমকা এক জোড়া ওজন ৮ আনা মূল্য ৭০,০০০/- টাকা নিয়ে নেয়,
সুমাইয়ার ছেলে শিশু সন্তান সাইফানের উপর বাংলা দাও তাক করিয়া ধরিয়া তাকে জবাই করার কথা বলে এবং জমির দলিল পত্র কোথায় তখন তার কাছে পাওয়া বিদেশি চার্জার লাইট শব্দ সৃষ্টি করিয়া পার্শবর্তী লোকজনকে টের পাওয়ানোর জন্য টিনের বেড়ায় লাইট ছুড়ে মারলে ডাকাতেরা লাথি মেরে ঘরের পাটাতনে উঠে স্টিলের ট্রাঙ্কের তালা না থাকায় উক্ত ট্রাঙ্ক হইতে দলিল পত্র সহ মূল্যবান সকল কাগজপত্র ডাকাতরা নিয়া যায়।
Leave a Reply