আর এ লায়ন সরকার, নরসিংদী: পরিচিতি: হযরত কাবুল শাহ্ রহঃ মাজারটি বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার ১নং ওয়ার্ড, তরুয়া মহল্লায় অবস্থিত। আফগানিস্তানের তৎকালীন সময়ের জমিদার হযরত কাবুল শাহ্ রহঃ বাংলা-বিহার যুদ্ধের সময় এখানে এসে আধ্যাত্মিক সাধনায় লিপ্ত হন। সেই থেকে মাজারটি প্রাচীনকাল থেকেই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষের কাছে সুপরিচিত।প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা: মাজারটি সার্বক্ষণিক পরিচালনার জন্য একটি প্রায় ১৫ জনের কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে আলেম, শিক্ষক এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা রয়েছেন। বর্তমানে মাজারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে নরসিংদী জেলা প্রশাসন। প্রধান খাদেম হাশেম মাস্টারের নেতৃত্বে ধর্মীয়, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নমূলক নানা কার্যক্রম চালু রয়েছে। প্রধান স্থাপনা ওপ্রতিষ্ঠানসমূহ: হযরত কাবুল শাহ রহঃ বাইতুন নূর জামে মসজিদ (তিন তলা বিশিষ্ট) হযরত কাবুল শাহ রহঃ নরসিংদী পাবলিক কালেক্টরেট স্কুল (দুই তলা, ছাত্রছাত্রী সংখ্যা: ২৩০), হযরত কাবুল শাহ রহঃ নরসিংদী কালেক্টরেট মাদ্রাসা (একতলা দৃষ্টিনন্দন ভবন)। প্রতিবন্ধী স্কুল নিজস্ব খানকা ও মার্কেট আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম: প্রতিটি বৃহস্পতিবার মাজারে আধ্যাত্মিক জারি-সারি গান এবং ভক্তদের মিলনমেলা বসে। দূরদূরান্ত থেকে আগত ভক্তরা এখানে একত্রিত হন, আধ্যাত্মিক আনন্দে মেতে ওঠেন এবং সমবেত পরিবেশ সৃষ্টি করেন। আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও ব্যয়ভার: মাজার ফান্ড: ভক্তদের দানকৃত অর্থ ব্যাংকের ফান্ডে জমা রাখা হয়, এবং এর লভ্যাংশ থেকে মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খরচ বহন করা হয়। শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যয়:
মসজিদের হুজুর, স্কুলের শিক্ষক, বোয়া এবং প্রতিবন্ধী স্কুলের কর্মীদের বেতন মাজার ফান্ড থেকে প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের উপকরণ: স্কুল ফার্ম থেকে সরবরাহকৃত বই, খাতা, কলম, পেন্সিল ও পোশাকের খরচও ফান্ড থেকে বহন করা হয়। উন্নয়নমূলক কাজ: ফাল্গুন মাসের সাপ্তাহিক মেলা, আষাঢ় মাসের ফল পাতেয়া এবং প্রতিদিনের ভক্তদের অনুদান থেকে আসা অর্থ উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও নতুন উদ্যোগে ব্যবহৃত হয়। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: মাদ্রাসার পেছনের জমি অধিগ্রহণ করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ নির্মাণ। সামাজিক অঙ্গীকার: প্রধান খাদেম হাশেম মাস্টার জানান, মাজার সংলগ্ন এলাকা সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত রাখা হয়েছে। এখানকার ধর্মীয় পরিবেশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এলাকাবাসীর আস্থা ও গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
Leave a Reply