নিজস্ব প্রতিবেদক: স্ত্রী কর্তৃক , যৌতুক ও নির্যাতনের মামলায়, স্বামী আনোয়ার হোসেনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। আনোয়ার হোসেন ধুনট উপজেলা কালের পাড়া ইউনিয়নের ঈশ্বর ঘাট গ্রামের বাসিন্দা, তিনি ঈশ্বর ঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি পদে কর্মরত আছেন।
গত ২৩ মার্চ রেখে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আওতায় বিচারাধীন ছিল। উক্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ তদন্ত সাপেক্ষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উভয় পক্ষের বিজ্ঞ আইন জীবি, কৌশলি যুক্ত খন্ডনের মাধ্যমে ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত /০৩এর ১১গ ধারার অভিযোগ আসামির বিরুদ্ধে বিদ্যমান।
সার্বিক বিবেচনায় আসামীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামীকে C/W মূলে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এজাহারে বলা হয়,বাদিনীর পিতার বাড়ি এবং আসামী আনোয়ারের বাড়ি একই গ্রামে,
বাদীনি এক মাত্র কন্যা সন্তান তাই বিবাহের আসরে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে,পিতা আসামীর বাড়ি সংস্কার করার জন্য নগদ দুই লক্ষ টাকা,এবং সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাধ্যমত প্রদান করেন।
এরপর আসামী বাদনিকে নিজ বাড়িতে লইয়া গিয়া দাম্পত্ত্য জীবন যাপন করতে থাকে। সংসার করা অবস্থায় আসামীর আত্মীয়স্বজনের কু প্ররোচনায় বাদিনীর নিকট হইতে বিভিন্ন সময় তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। পিতার বাড়ি হতে যৌতুক আনিয়া দেয়ার জন্য বাদিনীকে মাঝে মধ্যে নির্যাতন করে।বাদিনী ফারজানা সংসার করার আশায় আসামীর সকল অন্যায় অত্যাচার নীরবে সহ্য করিতে থাকে, এমত অবস্থায় গত ২০-৪-২৪ ইং তারিখে আসামীর আত্মীয়-স্বজনের কু-প্ররোচনায় আসামী বাদিনীর নিকট হইতে তিন লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে বাদিনীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিয়া এক বস্ত্রে বাড়ি হইতে বাহির করিয়া দেয়।
বাদিনী নিরুপায় হইয়া পিতার বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করে। বাদিনীর পিতা কর্মের তাগিদে দেশের বাইরে অবস্থান করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য অনেক বার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তুু কোন কাজ হয় নাই। মেয়ে মা সংসার টিকানোর লক্ষে,মেয়ের স্বামী আনোয়ার হোসেনকে অনুরোধ করে, অবশেষে, আপ্যায়নের পর আসামী ঐদিন বাদিনীর পিতার বাড়িতে থেকে জান, কিন্তু দু:খের বিষয়, রাত্রীবেলা আসামি বাদিনীর নিকট হইতে পূর্বের ন্যায় আবারও তিন লক্ষ টাকা দাবি করে, টাকা দিতে অস্বীকার করলে বাদিনীর সহিত যৌতুকের টাকা লইয়া কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে আসামী বাদিনীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে মারধর করেন।
এ ব্যাপারে, ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্ম কর্তা রাজিয়া সুলতানা জানান , তদন্ত করে অপরাধী হলে, তার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফারজানা বলেন, এ নিয়ে আমার নতুন করে কিছু বলার নাই। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অমানবিক, আজ তার এ-ই অমানবিক নির্যাতনের ফলেই এই পরিণতি হয়েছে। আমি তার উপযুক্ত শাস্তি ও বিচার চাই।
Leave a Reply