মহেশখালী প্রতিনিধি: অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন প্রকৃতি ধ্বংসের নীরব কারিগর মহেশখালী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ১টি সিন্ডিকেট এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা।
বর্তমান সময়ে ঘটিভাঙ্গা,সোনাদিয়ায় প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের তৈরীর পরবর্তী পরিবেশ ধ্বংসের অন্যতম বড় কারণগুলোর ১টি হলো অপরিকল্পিত ও সরকারি খাল থেকে সেলু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন।
নদী,খাল ও জলাশয় থেকে বালু উত্তোলনের ফলে শুধু যে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তা-ই নয়, বরং এই প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে আমাদের চিংড়ি ঘের,লবণের মাঠ, কৃষি জমি, নদীর তীরবর্তী বসতি, নদীপথ ও জীব বৈচিত্র্যকেও চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ এই ভয়াবহ অবস্থার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা প্রায় নীরব ও নিষ্ক্রিয় এমনই অভিমত স্থানীয়দের স্থানীয় সূত্রে জানা যায় – স্বাস্থ্য সহকারী জাহাঙ্গীর ও জাফর এর নেতৃত্বে ১টি সিন্ডিকেট সরকারি বন্দোবস্তকৃত চিংড়ি জমিতে পার্শ্ববর্তী সরকারি খাল থেকে সেলু মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে জমি ভরাট করেবরফ মিল বসানোর মিশনে নেমেছে।
উক্ত বিষয় স্বাস্থ্য সহকারী জাহাঙ্গীর এর কাছে মুঠোফোনে সরকারি খাল থেকে সেলু মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনে সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন –
প্রশাসন থেকে অনুমতি না নিলে দীর্ঘ ২/৩ মাস ধরে কিভাবে বালু উত্তোলন করতেছি। একদিনও প্রশাসন আসলোনা!
আরও বলেন, অনুমতি নিছি কিনা প্রশাসন থেকে জিজ্ঞেস করেন।শেষে কথার এক পর্যায়ে অনুমতি নেয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন।
উক্ত বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হেদায়ত উল্যাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন – বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখতেছি।
Leave a Reply