আশিকুর রহমান রানা, সিলেট জেলা প্রতিনিধি: বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতি গৌছ আলী বলেছেন, নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর নাম ব্যবহার করে আওয়ামী দোসরদের রক্ষা করতে যারা চেষ্টা করছেন, তাদের আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল। এই দলে কোনো সুযোগসন্ধানী, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারপন্থী বা দোসরদের জায়গা নেই। যারা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের সাথে সুযোগ সুবিধা নিয়েছে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারাই আবার নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর সাজানো বাগান নষ্টের পায়তারা করছেন। এজন্য বিশ্বনাথ উপজেলাসহ সর্বস্থরের মানুষকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
তিনি বলেন, নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলী ছিলেন বিএনপির একজন সাহসী, জনপ্রিয় ও ত্যাগী সংগঠক। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা এখনো বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি জ্বলন্ত প্রশ্ন। আজকে আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, কিছু সুবিধাবাদী চক্র তার নাম ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করছে এবং আওয়ামী লীগের এজেন্ডাকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- এই চক্রান্ত যতই গভীর হোক না কেন, আমরা জানি কারা সত্যিকার অর্থে দলের সঙ্গে নিবেদিত এবং কারা আড়ালে আওয়ামী সরকারের দোসর হয়ে দলের ক্ষতি করতে চাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আজও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে মাঠে আছে। যারা দলের ভিতরে থেকে দলের আদর্শের বিরুদ্ধে কাজ করে, তারা কেউই বিএনপির প্রকৃত কর্মী নয়। বিএনপি জনগণের দল- এখানে দলবিরোধী ষড়যন্ত্রের স্থান নেই। আমরা সবাইকে সতর্ক করছি- দলের নাম, নেতার নাম বা শহীদের নাম ব্যবহার করে কেউ যেন আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা না রাখে। বিএনপি ত্যাগীদের দলে, দোসরদের নয়।
তিনি আর বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর জননেতা এম ইলিয়াছ আলী গুম নামক কারাগারে বন্ধি রয়েছেন। আমার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কাছে তার সঠিক সন্ধান ও তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১লা মে) মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে ১নং লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
১নং লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি বশির আহমদ এর সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আশিক আলীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া চেয়ারম্যান, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মুনায়েম খান, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি নুর উদ্দিন, সংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন মামুন, দপ্তর সম্পাদক আমির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক কয়েছ মিয়া, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জুনেদ, খছরুজ্জামান খছরু, জাহিদ হোসেন, পৌর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সামছুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান রানা, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরুজ্জামান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ দুলাল মিয়া।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা যুবদলের সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক তাজ উদ্দিন আহমদ কিনু, বিশ্বনাথ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হান্নান বাবুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেব দলের যুগ্ম আহবায়ক নুরুজ্জামান জামান, নজরুল ইসলাম, সদস্য গোলাম আকবর, শামীম আহমদ, জাহেদ আহমদ শাওন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবুল কালাম মেম্বার, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাবিবু রহমান হাবিব, ইউনিয়ন বিএনপি সহ সাধারণ সম্পাদক আংগুর মেম্বার, বিএনপি নেতা তৈয়বুর রহমান, আলী আহমদ, তাজ উদ্দিন মেম্বার, শাহজাহান, আনা মিয়া, আব্দুস শহিদ, ঠাকুরধন, সাজিদুর রহমান, ইউনিয়ন যুবদল নেতা সৈয়দ শফিক মিয়া, হাবিবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল মুতলিব, ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি বাদশা মিয়া, ৮ নং এর সভাপতি মো. গৌছ আলী, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, যুবদল নেতা সাজিদ উল্লাহ, রুবেল মিয়া, ফয়ছল আহমদ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি জহিরুল ইসলাম, ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ইমন হাসান রাব্বি, বিএনপি নেতা ধন মিয়া, আবু সৈয়দ প্রমুখ।
Leave a Reply