সালাম হোসেন, ঝিনাইদহ: কারিগরী ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন নতুন ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের চাকরির সুযোগ করে দিতে ঝিনাইদহে দিনব্যাপী “জব ফেয়ার” শীর্ষক চাকরি মেলার আয়োজন করেছে ঝিনাইদহ সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ।বুধবার বেলা ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসে মেলার উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহে চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।এ সময় ঝিনাইদহ সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনিচুর রহমান মৃধা, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল, মডার্ণ ফার্মাসিটিক্যালস’র প্রতিনিধি এবিএম জাহাঙ্গীর হোসেন, জিএম আলমগীর হোসেন, আইডিইবির সভাপতি ইয়াসিন আলী, শৈলকুপা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সামায়ান হোসেন, ঝিনাইদহ সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক হাদিউজ্জামান, আবু সাইদ, মনিরুজ্জামান ও হুমায়ন কবীর প্রমুখ।চাকরি মেলায় ঝিনাইদহের ১১টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ গ্রহন করে। অংশগ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, জোহান ড্রিম ভ্যালি, জোহান এগ্রা ফুড, সিও, সৃজনী ফাউন্ডেশন, ওয়ালটন, এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, সার্ফ এগ্রো, ফ্রিডম অ্যাডভান্সমেন্ট, আয়ান এন্টার প্রাইজ ও ই-লানিং এন্ড আর্নিং।সকাল থেকে মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, চাকরিপ্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সিভি দিচ্ছেন। ই-মেইলে ও স্ক্যান করে সিভি নেওয়া হচ্ছে।চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোয় মোবাইল সার্ভিসিং, অটোমোবাইলম ফার্ম মেশিনারী, কম্পিউটার, ইলেক্ট্রিক্যাল, আইটি ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট পদের জন্য সিভি জমা দিচ্ছেন।ঝিনাইদহ শহর ছাড়াও গ্রামের শত শত শিক্ষিত যুবক এসেছেন মেলায়। সাধুহাটী থেকে আসা সাজমুস সাকিব জানান, তিনি অনার্স পড়ছেন।
পাশাপাশি চাকরির জন্য জন্য মেলায় এসেছেন। তিনটি প্রতিষ্ঠানে তিনি সিভি দিয়েছেন।ঝিনাইদহ সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনিচুর রহমান মৃধা জানান, প্রতিষ্ঠানটি কারিগরী শিক্ষার একটি মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজে কর্ম করে পরিবারে সচ্ছলতা আনতে পারেন।তিনি জানান, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় তিন’শ যুবক কারিগরী দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে গেছেন। সম্প্রতি শিক্ষা বৃত্তি নিয়ে ৪০ জন চিনে গেছেন। ব্রিটিশ আমলে এখানে যে ওয়ার্কসপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা অন্য কোথাও নেই বলেও অধ্যক্ষ জানান।এদিকে সকাল থেকেই মেলায় চাকরিপ্রার্থীরা আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বাড়তে থাকে মেলা প্রাঙ্গনে।মেলায় ১০/১২ হাজার চাকরিপ্রার্থী নিবন্ধন করেতে পারেন বলে আয়োজকরা মনে করছেন।
Leave a Reply