মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো: তেরখাদা উপজেলার ২৬ টি ইউনিয়নে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষক। বোরো ফসল কেটে গোলায় তোলার সময় কৃষকের অর্থনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে পানির দরে ধান সংগ্রহ করছে মজুদদার ও ফড়িয়াদের একটি সিন্ডিকেট। কোনো প্রকার বাধা নিষেধ না থাকায় স্থানীয় মুনাফাখোরদের যোগসাজসে চলছে কম দামে বোরো ধান কেনার মহোৎসব। ফসল ঘরে তোলার আগেই দাদন ও কিস্তির টাকার জন্য মাঠেই হাজির সুদখোর মহাজন ও এনজিও কর্মীরা। একই সাথে চাষিদের এমন অর্থনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভিড় করছেন মধ্যসত্ত্বভোগী মজুদদার ও ফড়িয়া সিন্ডিকেটের লোকজন। তাই খরচ ও ঋন মেটাতে নতুন ধান মাঠে থেকেই অনেক চাষি ৯শত থেকে ১ হাজার টাকা মন দরে সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ তাদের মন প্রতি উৎপাদন খরচ ৯শত টাকার উপরে। উপজেলার জয়সেনা এলাকার বোরো চাষি সুজন হালদার জানান, সুদের ওপর টাকা নিয়ে এবার চার বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। ফলন হয়েছে বাম্পার। অথচ এ ফসল ঘরে তোলার আগেই মাঠে ধানের ক্ষেতেই এসে টাকার জন্য দাড়িয়ে আছে মহাজন। তার টাকা পরিশোধ করতে ৯শত টাকা মন দরে অনেক ধান বিক্রি করতে হয়েছে ফড়িয়াদের কাছে। উপজেলা সদরের চাল ব্যবসায়ী মো: আবু তাহের জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দিনে রাতেই নতুন বোরো ধান বোঝাই অসংখ্য পরিবহন বিভিন্ন অঞ্চলের অটো রাইস মিলে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক রাজু চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনিও ট্রাকে ট্রাকে ধান বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এসময় তিনি জানান, কোনো বাধা নিষেধ না থাকায় বোরো চাষিদের অর্থ সংকটকে কাজে লাগিয়ে সিন্ডিকেট ধান নিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি বরাবরই, অভ্যন্তরীন ধান চাল সংগ্রহ অভিযানে বিরুপ প্রভাব ফেললেও কিছু করার থাকে না। এভাবে মজুদদার – ফড়িয়া সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে ট্রাকে নতুন বোরো ফসল বাহিরে চলে যাওয়ায় অভ্যন্তরীন ধান- চাল সংগ্রহ অভিযানে বিরুপ প্রভাব ফেললেও কিছু করার থাকে না। এভাবে মজুদদার – ফড়িয়া সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে ট্রাকে নতুন বোরো ফসল বাহিরে চলে যাওয়ায় অভ্যন্তরীন ধান- চাল সংগ্রহ অভিযান ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা – এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক পুরবী রানী বালা বলেন, এবিষয়ে আগামীকাল উপজেলা পরিষদের মিটিং আছে এর পর ধান চাল ক্রয় শুরু হবে।
Leave a Reply