সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের মারি খালি নদের চান্দিতে মোগরাপাড়া বাজার ঘাটলা এলাকায় ডিসি অফিসে কর্মরত এল পি আরে আসা মোঃ রফিক মিয়া নামে এক কর্মচারী সরকারি খাসজমি ও মারিখালী নদের চান্দি দখল করে আরসিসি পিলার তৈরি স্থায়ী বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করে। আরসিসি পিলারের তৈরি নির্মাণাধীন কাজ চলাকালীন সময়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এসিল্যান্ড মহোদয়ের অনুমতিক্রমে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে ডিসি অফিস পরিচয়দানকারী মোঃ রফিক মিয়া নির্মানাধীনের কাজ চলমান রাখেন। জনমনে প্রশ্ন ডিসি অফিস পরিচয়দানকারী রফিক মিয়ার খুঁটির জোর কোথায়?
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের মোগরাপাড়া বাজারস্থ বটগাছতলা ঘাটলার পশ্চিম পাশে মোগরাপাড়া ইউপির দমদমা (বৈঠকখানা) এলাকার মৃত আহাদ মিয়ার ছেলে মোঃ রফিক মিয়া সরকারি খাসজমি ও মারিখালী নদের চান্দি অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ীত্ব করে আরসিসি পিলার নির্মাণের কাজ শুরু করেন। স্থানীয় ভূমি অফিসের নজরে আসলে বিষয়টি এসিল্যান্ড মহাদয়কে অবহিত করেন। এসিল্যান্ড মহোদয় মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেনকে আরসিসি পিলার তৈরির নির্মাণের কাজ বন্ধের অনুমতি দেন। এসিল্যান্ড মহোদয়ের অনুমতিক্রমে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের নায়েব। কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে সরকারি খাঁসজমি ও মারিখালি নদের চান্দি দখল করে আরসিসি পিলার তৈরির কাজ চলমান রাখেন মোঃ রফিক মিয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, মোঃ রফিক মিয়া সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য ডিসি অফিসের নাম বিক্রি করে। কথায় কথায় ডিসি অফিস। একবার বলে ৪ শতক খাঁসের জমি আমার নামে ৯৯ বছরের লিজ আছে, আবার বলে সাবেক প্রসিডেন্ট হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের আমলে নেয়া বন্দোবস্তের কাগজ আছে। সারাক্ষণ পাশে থাকা ঘাটলাতে বসে এই প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী ও জনমনে প্রশ্ন ডিসি অফিস পরিচয়দানকারী রফিক মিয়ার খুঁটির জোর কোথায় ।
এ ব্যাপারে মো. রফিক মিয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি ১৯৮৮ সালে সাবেক প্রসিডেন্ট হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারের আমলে ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত এনেছি। কাগজপত্রের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজ বাসায় আমার ভাইয়ের বউয়ের কাছে আছে। রফিক মিয়ার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ডিসি অফিসে চাকরি করতাম, ছয় মাস পূর্বে এল পি আরে এসেছি। ডিসি অফিসে কোন পদে কর্মরত ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিস সহকারী।
এ বিষয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের সরকারি খাসজমি ও মারিখালি নদের চান্দি দখল করে স্থায়ীভাবে আরসিসি পিলার তৈরির নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মোঃ রফিক মিয়া। গত ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এসিল্যান্ড মহোদয়ের অনুমতি ক্রমে আমি কাজ বন্ধের নির্দেশ দেই। মোঃ রফিক মিয়া ঐ দিনেই ভূমি অফিসে এসে স্বীকার করছে কাজ বন্ধ করে দিবে। গত ২৮ এপ্রিল সোমবার আমি অফিসে আসার পথে দেখি মোঃ রফিক মিয়া এসিল্যান্ড মহোদয়ের অনুমতিক্রমে আমার নির্দেশ অমান্য করে কাজ চলমান রেখেছে। সরকারি খাঁসজমি ও মারি খালি নদের চান্দি দখল করে স্থায়ীভাবে আরসিসি পিলার নির্মাণে সরকার থেকে লিজ নেওয়ার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
Leave a Reply