স্টাফ রিপোর্টার: পাওনা ২৫০ টাকার জের ধরে মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আলাউদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করায় তার মৃত্যু হয়েছে এমনই অভিযোগ উঠেছে মৃত আনসার আলীর ছেলে চুনু মিয়ার বিরুদ্ধে.। জানা যায়, আড়াইহাজার বিশনন্দী ২ নং ওয়ার্ড কড়ইতলা গ্রামের আলাউদ্দিনের নিকট থেকে ২৫০ টাকা পাওনা ছিলেন, একই এলাকায় বসবাসকারী চুনু মিয়া। আলাউদ্দিন, চুনু মিয়ার ২৫০ টাকা পরিশোধ করতে কালক্ষেপণ করায় দুজনের মধ্যে টাকার বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২৬/৪/ ২০২৫ ইং অনুমান বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তর্ক বিতর্ক শুরু হলে একপর্যায়ে চুনু মিয়া, আলাউদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করায়, আলাউদ্দিন মাটিতে লুটেপরে এবং ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষ দর্শীরা তার স্বজনদের খবর দিলে , আলাউদ্দিনের মেয়ের জামাই, ও তার সহধর, হেলাল মিয়া এবং ওমর আলী মিয়া দ্রুত ঘটনা স্থলে আসে পরবর্তীতে তারা আলাউদ্দিনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা সরোওয়ারদি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঐদিন রাত ১১:৩০ টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে । পরবর্তীতে স্বজনরা আলাউদ্দিনের মৃতদেহ ২৭/৪/২০২৫ইং বেলা আড়াইটার দিকে তার নিজ এলাকায় করইতলা গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। দর্শক ঘটনা এখানেই শেষ নয়, বিশেষ সূত্রে জানা যায়, আলাউদ্দিনের হত্যাকারী চুনু মিয়া, হত্যার ঘটনাকে দামাচাপা দিতে, এলাকার, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, কামাল ফকির ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব ফকির, মারফত আলী ফকির, আব্দুল আলী ফকির, ও মুক্তার ফকির এবং মৃত আলাউদ্দিনের পক্ষে ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মৃত ওসমান গনির ছেলে জাহাঙ্গীর সরকার, আলমগীর সরকার, রতন সরকার, মুছা মিয়া ও আলাউদ্দিনের দুই ভাই , হেলাল মিয়া এবং ওমর আলী মিয়া দুই পক্ষের এই লোকদের আইনি বহির্ভূত সিদ্ধান্তে হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ায়, অনেক সচেতন মহল, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বলেন , অপরাধী কর্তৃক হত্যার ঘটনাকে যদি টাকা দিয়ে মিটিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে এই দেশে আইনের কোন অস্তিত্ব থাকবে না বা আইনের প্রতি সাধারণ মানুষ ভরসা হারাবে, এবং যে কোন মানুষ প্রতিহিংসায় একজন আরেকজনকে খুন করে টাকার বিনিময় তা সমাধান করবেন এমনটা হতে পারে না। তারা আড়াইহাজার থানা অফিসার ইনচার্জ ও ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোঃ ইউনুস এর নিকট এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। এ বিষয়ে, জাহাঙ্গীরের নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন, চুনু মিয়া আলাউদ্দিনকে থাপ্পড় মেরেছে এবঃ আলাউদ্দিনের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করবেন বলে চুনু মিয়া বলেছেন তা আমি অবগত আছি তবে পরবর্তীতে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই। ঘটনার বিবরণ জানতে চুনু মিয়ার মুঠোফোনে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ওসি তদন্ত সাইফুদ্দিন এর নিকট জানতে চাওয়া হলে, তিনি ওই মুহূর্তে এএসআই আমিনুলকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেন বিশনন্দি করইতলার আলাউদ্দিনের মৃত্যুর কারণ কি? উত্তরে এ এস আই আমিনুল বলেন স্যার বিষয়টি আমি জেনেছি, চুনু মিয়া আলাউদ্দিনকে পাওনা টাকার ব্যাপারে থাপ্পড় মেরেছে এবং সে হার্টের রোগী ছিল হাসপাতালে নেয়ার পর আলাউদ্দিন মারা গেছেন। এ বিষয়ে ওসি তদন্ত সাইফুদ্দিন গণমাধ্যম কর্মীদের আশ্বস্ত করেন আলাউদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে থানায় উপস্থিত বিশনন্দী ইউনিয়ন জিয়া পরিষদের সভাপতি জহিরুল ইসলাম তদন্ত ওসিকে বলেন, আলাউদ্দিন হার্টের রোগী ছিল চুনু মিয়া তাকে মারধর করায় হয়তো স্টক করে মারা গেছেন।
Leave a Reply