লালমনিরহাট প্রতিনিধি: সরাসরি বুড়িমারী থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে দুরপাল্লার বাস ও ট্রাক আটকে সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। তবে ছোট যানবাহন চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো এই অবরোধ চলছে, ফলে এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে হাতীবান্ধা মেডিকেল মোড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান নিয়ে গান-বাজনার মধ্য দিয়ে রাতভর সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। অপরদিকে আজ থেকে পাটগ্রামে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেলপথ ও সড়কপথে অবরোধ শুরু করেছে স্হানীয় জনসাধারণ।
অবরোধকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এরই মধ্যে, গত ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া অবরোধের কারণে হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম সড়কপথ ও রেলপথে যান ও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটের চারটি উপজেলায় ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। আজ সোমবার পাটগ্রাম উপজেলাতেও অনির্দিষ্টকালের জন্য মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, গত বছরের ১২ মার্চ ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর ট্রেনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তবে উদ্বোধনের ১১ মাস পার হলেও ট্রেনটি সরাসরি বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় না। এই পরিস্থিতির প্রতিবাদেই স্থানীয়রা আন্দোলনে নেমেছেন।
অবরোধকারীরা অভিযোগ করেন, ট্রেনটির নাম ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ হলেও বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে সরাসরি ট্রেন চালু হয়নি। পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার বাসিন্দারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে সরাসরি ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচলের দাবি জানিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
অবরোধে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা সায়েদুজ্জামান কোয়েল, আব্দুর রাজ্জাক সবুজ, সাংবাদিক ফারুক হোসেন নিশাত, ফিরোজ হোসেন, শামসুল আলম বুলেট এবং হাতীবান্ধা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
এবিষয়ে গতকাল রাতে ও আজ দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা এসেও কার্যত অবরোধ তুলে নিতে পারেনি।
Leave a Reply