মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো: ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যাবহার ( নিয়ন্ত্রন) আইন – ২০২৫ ( সংশোধনী- ২০১৩) বাস্তবায়নে গঠিত বিভাগীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভা আজ ২৮ এপ্রিল দুপুরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ( শিক্ষা ও আইসিটি) দেব প্রসাদ পাল। আঞ্চলিক তথ্য অফিস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানাযায়। সভাপতি তার বক্তব্য বলেন, ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার জনসাস্থ্যর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন, ব্যবহার, ক্রয়- বিক্রয় ও বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পার্ক ও সাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের একশত মিটারের মধ্যে কোন দোকানে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না। সকল পাবলিক প্লেস পরিবহনের দৃশ্যমান স্থানে নো- স্মোকিং সাইনেজ স্থাপন করতে হবে। সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ( উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো: মনছুর আলম, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক অনিন্দিতা রায়, খুলনা বিভাগীয় সাস্থ্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা: অর্পনা বিশ্বাস, বিআরটিএর পরিচালক মো: জিয়াউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এইড ফাউন্ডেশনের প্রকপ্ল পরিচালক কাজী মোহাম্মদ হাসিবুল হক। সভায় জানানো হয়, বছরে একলাখ ২০ হাজার মানুষ তামাকজাত দ্রব্য সেবনে মৃত্যুবরন করে। বর্তমানে দেশে ৩০ বা তদুর্ধব বয়সীদের মধ্যে ৭০ লাখের অধিক মানুষ তামাক সেবন জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। যার মধ্যে ৬১ হাজারের অধিক শিশু বাড়িতে পরোক্ষ ধুমপানের শিকার। ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে চার লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি শিশু তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধুমপান করলে তিনশত টাকা জরিমানা, পুনরায় অপরাধ করলে দ্ধিগুন জরিমানা, নিষিদ্ধ বিজ্ঞাপন দিলে তিন মাসের জেল ও একলাখ টাকা জরিমানা, নিষিদ্ধ অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিন ব্যবহারে তিন মাসের জেল ও একলাখ টাকা জরিমানা। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করার বিধান রয়েছে। সভায় সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা এনজিও প্রতিনিধি ও বিভাগীয় টাস্কফোর্সের কমিটির সদস্যগন অংশ নেন।
Leave a Reply