1. masudkhan89@yahoo.com : Ghoshana Desk :
  2. zunayedafif18@gmail.com : Mahir Al Mahbub : Mahir Al Mahbub
  3. masudkhan89@gmail.com : Masud Khan : Masud Khan
সুন্দরগঞ্জ ডাকঘরের বেহালদশা - দৈনিক ঘোষণা
ব্রেকিং নিউজ :

সুন্দরগঞ্জ ডাকঘরের বেহালদশা

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৭১ দেখেছেন

মোঃ রুবেল মিয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রধান ডাকঘরের পলেস্তার ও ছাদ ধসে পড়ছে প্রতিনিয়ত। যে কোন মহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ কর্তৃপক্ষ নিবর। বেহালদশার এই ডাকঘরটি ছাদ চুঁয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি। পুরাতন অনেক ডকুমেন্ট বৃষ্টির পানিতে ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। মাথার উপর বিপদের বোঝা নিয়ে দিনরাত কাজ করছে কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ। বিষয়টি উপর মহলে বহুবার জানিয়েও কোন কাজ হয়নি আজও। ডাকঘর একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর এবং রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ ভাবনটি মেরামত অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। সুবিধাভোগী সাধারণ মানুষ ডাকঘরে যাওয়া আসা করছেন ঝুঁকি নিয়ে।

জানা গেছে, উপজেলার বামনডাঙ্গা ও সুন্দরগঞ্জ দুইটি ডাকঘরের আওতাধীন ২৮টি শাখা ডাকঘর রয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ডাকঘরের অধীনে ১২টি এবং বামনডাঙ্গায় ১৬টি শাখা ডাকঘর রয়েছে। আধুনিক ও ডিজিটাল প্রযুক্তি থাকার পর ডাকঘরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট আদান প্রদান হয়ে আসছে। বিশেষ করে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার খাতাপত্র এবং সরকারি দপ্তরের চিটিপত্র এখনও ডাকযোগে আদান প্রদান হচ্ছে। এছাড়া রেভিনিউ স্টাম্প সংগ্রহ করতে হয় ডাকঘর হতে।

দহবন্দ ইউনিয়নের সুবিধাভোগী রাশেদুল ইসলাম বিপুল বলেন, উপজেলার প্রধান ডাকঘরটি অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। স্বাধীনতার পর নির্মিত ভাবনটির ছাদ ও পলেস্তার প্রতিনিয়ত ধসে পড়ছে, বৃষ্টি আসলে ছাদ চুঁয়ে পানি পড়ে নষ্ট হচ্ছে কাগজপত্র। ভবনটির বাহিরের অবস্থার বেহাল দশা। সেবা নিতে গিয়ে বেশিক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে ভয় লাগে। কখন ভবনের ছাদ বা পলেস্তার ধসে পড়ে সে চিন্তায়।

বেলকা ডাকঘরের পিয়ন মোস্তাফা মিয়া জানান, সুন্দরগঞ্জ প্রধান ডাকঘরটি অবস্থা খুবেই ঝুঁকিপূর্ণ। সবগুলো শাখা ডাকঘরের পিয়নরা প্রতিদিন চিটিপত্র আনা নেয়ার জন্য প্রধান ডাকঘরে যাতায়াত করতে হয়। ভবনটির ভিতরে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করা অত্যন্ত বিপদজনক। জরুরী ভিত্তিত্বে ভবনটি সংস্কার ও মেরামত করা একান্ত প্রয়োজন।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রধান ডাকরের পোষ্ট মাষ্টার নুরুল হুদা জানান, এক কথায় ডাকঘরের ভনটি বর্তমানে ব্যবহারের অয়োগ্য। বৃষ্টি-বাদলে ছাদ চুঁয়ে পানি পড়ার কারণে গুরুত্বপূর্ণ কাজপত্র সংরক্ষণ করা দূরহ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়ে। ভবনটি সংস্কার ও মেরামতের জন্য বহুবার তাগাদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজও কোন ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি।

গাইবান্ধা জেলা ডাকঘর পোষ্ট মাষ্টার বিল্পব কুমার দাস বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা আছে। ভবনটি সংস্কার ও মেরামতের জন্য উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একই রকম সংবাদ
© সকল স্বত্ব দৈনিক ঘোষণা অনলাইন ভার্শন কর্তৃক সংরক্ষিত
Site Customized By NewsTech.Com