নিজস্ব প্রতিবেদক: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ব্যাপারীরহাটের শতবর্ষী শ্রী শ্রী গোসাইবাড়ি শিব মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীদের ওপর অশালীন আচরণের অভিযোগে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন শুকলা চ্যার্টাজী (৩৮) ও তার মা তাপসী চক্রবর্তী (৫৫)। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
প্রচণ্ড গ্রীষ্মের মধ্যে শিক্ষার্থীরা হাফপ্যান্ট পরে মন্দির চত্বর পরিষ্কারে অংশ নেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুকলা চ্যার্টাজী ও তার মা তাপসী চক্রবর্তী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ‘গরিব ছোটলোকের বাচ্চা’, ‘গাজাখোর’ ও ‘মাদকাসক্ত’ ইত্যাদি কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করেন। অভিযোগ রয়েছে, পরে শুকলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে নানা অপপ্রচার চালান।
এছাড়া, স্থানীয় দৈনিক ভোরের বানী পত্রিকার এক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করার কারণে শুকলা চ্যার্টাজী তাকে অশ্রাব্য ভাষায় হুমকি দেন। ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী জানান, তিনি হুমকির স্ক্রিনশট সংরক্ষণ করেছেন।
শিক্ষার্থী হরচন্দ্র ফন্টু, দিপংকর চৌধুরী, প্রিতম রায়, কৌশিক সিংহ বাধনসহ অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মৃত স্বপন চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী তাপসী চক্রবর্তী কোনো বৈধ নিয়োগপত্র ছাড়াই মন্দিরের সেবাইতের দায়িত্ব দখলে রেখেছেন। স্থানীয়দের দাবি, মন্দিরের জমি টাকার বিনিময়ে লিজ দেওয়া, গাছ কেটে বিক্রি করা এবং সরকারি অনুদান আত্মসাতের মতো গুরুতর অনিয়মের সঙ্গেও তারা যুক্ত। ফলে বহু বছরেও মন্দিরের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে মন্দিরের সেবা করে এসেছি, অথচ বিনা কারণে আমাদের অপমান করা হয়েছে। আমরা শুকলা চ্যার্টাজী ও তাপসী চক্রবর্তীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এলাকার সনাতনী সম্প্রদায় ও সাধারণ মানুষ শুকলা ও তাপসীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের ‘নরঅসুর’ বলে অভিহিত করেছেন। তারা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, “এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
Leave a Reply