শাহাদাৎ হোসেন সরকার: আশুলিয়া থানার সামনে বাইপাইল এলাকায় হিমালয় গেস্ট হাউজ’ ও পদ্মা গেস্ট হাউজ’এর নামে প্রকাশ্যে পতিতাবৃত্তি চালানো হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের আড়ালে অবৈধ দেহ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে একটি চক্র, যা স্থানীয় প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চলছে বলে অনেকে মনে করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এসব গেস্ট হাউজে দিন-রাত রক্ষিত নারী ও অজ্ঞাতপরিচয় নারী-পুরুষের যাতায়াত, অস্বাভাবিক আচরণ ও গোপনে অর্থের বিনিময়ে দেহব্যবসার ঘটনা চালাচ্ছে।
অনেকেই অভিযোগ করেন, থানার সামনে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় এলাকার সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
যদিও আশুলিয়া থানা পুলিশ ইতিপুর্বে পদ্মা গেস্ট হাউসে অভিযান পরিচালনা করলেও থেমে নেই অনৈতিক কর্মকান্ড, তবে হিমালয় গেস্ট হাউসে এখনো কোনো অভিযান করা হয়নি। তবে স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশের অভিযানগুলো কেবল দৃষ্টি আকর্ষণ’ করার জন্য, কারণ এসব গেস্ট হাউজ দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহজনক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে নিরব ভূমিকায় প্রশাসন।
সমাজকল্যাণবিদ ও মানবাধিকার কর্মীরা এ ঘটনাকে সামাজিক অবক্ষয়ের alarming সংকেত’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে, প্রশাসন যদি দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আশুলিয়ার মতো ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায় অপরাধ ও নৈতিকতা বিচ্যুতি আরও বাড়বে।
জবাব চাইছে সুশীল সমাজ
এ বিষয়ে আশুলিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে স্বচ্ছ তদন্ত ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সুশীল সমাজ। তারা চান, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক এবং গেস্ট হাউজগুলোর লাইসেন্স যাচাই করে বেআইনি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হোক।
আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় গেস্ট হাউজের নামে পতিতাবৃত্তির মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড রোধে প্রশাসন কতটা আন্তরিক, তা এখন দেখার বিষয়। অপরাধের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা দেখানোই কাম্য, নতুবা সাধারণ মানুষের আস্থা আরও ক্ষুণ্ণ হবে।
Leave a Reply