মো : রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো : দোষি প্রমানিত না হলে চাপ প্রয়োগ করে ভিসির অপসারন মেনে নেবে না শিক্ষক সমিতি। অনির্দিস্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখবে শিক্ষকরা। সব পক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন তারা। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেও শিক্ষকদের সাথে কথা না বলায় হতাশ প্রকাশ করেন শিক্ষকরা। কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সন্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ ফারুক হোসেন সহ কয়েকজন শিক্ষক। ছাত্রদেরওপর আক্রমণ ও শিক্ষক লাঞ্চনাকারীদের যথোপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকবৃন্দ কোন ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ অংশগ্রহণ করবে না বলে জানান শিক্ষকবৃন্দ। সংবাদ সন্মেলনে অধ্যাপক ড. আশরাফুল গনি ভুইয়া বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেও শিক্ষকদের সাথে কথা বলেননি। এতে আমরা ব্যথিত হয়েছি।অল্প কয়েকজন মিছিল করলে সাংবাদিকরা নিউজ করে যে কুয়েট উত্তাল, অথচ কুয়েট শিক্ষার্থী ৫ হাজারেরও বেশি। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের রাজনৈতিক ট্যাগ দিচ্ছে। যা দুঃখ জনক। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী উপাচার্যকে মারধর করেছে, গায়ে থুতু দিয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্চিত হয়েছেন, তাদের নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে। তিনি এসবের বিচার দাবি করেন। মহান জুলাই আন্দোলনের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে” মব” কালচারের মাধ্যমে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্মানিত ভাইস চ্যান্সেলর এর অপসারন হতে পারে না। এই ধরনের কালচার শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পুর্নরুপে ধংস করবে এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় একই রকম ” মব ” কালচারের আশংকা তৈরি হবে বলে শিক্ষক সমিতির বার্তায় জানানো হয়। ” মব” কালচারের উপর ভত্তি করে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার অনুরোধ জানান তারা। অন্যতায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তা মেনে নেবে না এবং শিক্ষক সমাজ প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে জানান তারা।
Leave a Reply