বায়েজিদ হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়ায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গত ২২ এপ্রিল ধর্ষন।
বগুড়া সদর মামলা নং-৬৩ ,২০/০৯/২৫ খ্রিঃ বার-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় দায়ের।
মেঃ রহিম সরদার (৪৭), পিতা মৃত ময়েজ উদ্দিন সরদার, সাং খেউনী বিন্নাচাপড়, থানা-শিবগঞ্জ, বগুড়া। মোঃ এমরান আলী (১৯), পিতা মোঃ পিন্টু প্রামানিক, সাং নামুজা ভান্ডারীপাড়া, এমরান আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। আমার মেয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার সামগাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর ছাত্রী। গত ২ বছর যাবৎ উপরোক্ত আসামীর সাথে আমার মেয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়া উঠে। আসামী এমরান আলী, আমার মেয়েকে প্রেমের সূত্র ধরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গত ২২ এপ্রিল সকাল অনুমানিক ৮ টায় বগুড়া সদর উপজেলার মমইন বিনোদন জগতে আসতে বলে। আমার মেয়ে আসামীর কথামতো সকাল অনুমানিক ৯ টায় মমইন বিনোদন জগতে আসিলে উক্ত আসামী আমার মেয়েকে নিয়ে বিনোদন জগতে দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরি শেষে বগুড়া সদর উপজেলার মাটিডালী এলাকার হোটেল মমইন এর আশে পাশে অজ্ঞাতনামা হোটেল অথবা একটি বাড়ীর ঘরের মধ্যে আমার মেয়েকে নিয়ে একই দিন দুপুর অনুমানিক ১২ টা থেকে বিকাল ৩ টার মধ্যে যে কোন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়া তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আমার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে জনৈক ডানতীর (মোবাঃ ০১৭৬৬-০৪৪৬৭১) ও অনৈক হয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাসেল (১১নং নাজুমা ইউনিয়ন) ফোন করিয়া জানায় যে, ছাত্রী অসুস্থ হয়ে সবরামপুর বাংলা বাজারে আসতে বলে। সংবাদের ভিত্তিতে আমি ও আমার দুই মেয়েসহ সদর উপজেলার বাংলা বাজার চকরামপুর গ্রামে আমার মেয়ের বান্ধবী মোছাঃ জেরিন খাতুন, পিতা জয়নাল অবেদীন, সাং বাংলা বাজার চকরামপুর, থানা ও বগুড়া। আমার মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় তাহার বসতবাড়ী থেকে উদ্ধার করি। আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাহাকে সিএনজি যোগে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বর্তমানে আমার মেয়ে উক্ত হাসপাতালের গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন। আমার মেয়ের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি আমার নিকট আত্মীয়-স্বজন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহিত আলোচনা করে মামলা করেন।
Leave a Reply