মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো: ফুলতলায় সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোমিন গাজী (২৮) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। বুধবার রাতে যশোর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন দাইতলা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মোমিন গাজী খুলনার ফুলতলা উপজেলার পিপরাইল গ্রামের মো: নাজিম গাজীর ছেলে। র্যাব- ৬ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি সুত্রে জানা্যায়, বুধবার ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮ টার দিকে র্যাব- ৬ এর একটি আভিযানিক চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি যশোর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন দাইতলা বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। সুমন মন্ডল হত্যার প্রধান আসামি খুলনার ফুলতলা উপজেলার পিপরাইল গ্রামের মোঃ নাজিম গাজীর ছেলে মোমিন গাজীকে গ্রেফতার করেন। জানাযায় ভিকটিম মো: সুমন মোল্লা (২৯) এবং মোমিন গাজী প্রায় একসাথে চলাফেরা করতো। মোমিন গাজী এলাকায় সন্ত্রাস মাদককারবারী, চুরি,চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। চোরাই নৌকা এবং স্যালো মেশিন বিক্রয় করাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে ভিকটিমের সাথে আসামিদের বিরোধ চলে আসছিল। সুমন মোল্লা গত ২২ এপ্রিল আনুমানিক বেলা ১১ টার সময় তার শ্যালক ইকরামুলের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে জামিরা বাজারে যায়। বাজার থেকে কাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে এবং দুপুর আনুমানিক পৌনে ১ টার সময় ফুলতলা থানাধীন পিপরাইল ( পশ্চিম পাড়া) গ্রামস্থ একটি ধান ক্ষেতের দক্ষিন পাশে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে একটি মোটরসাইকেলে থাকা আসামি মোমিন গাজী এবং অজ্ঞাতনামা আরো দুজন তাদের ব্যাবহ্নত মোটরসাইকেল দিয়ে ভিকটিমের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে এবং সাথে সাথে পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা অন্যান্য আসামিরা ভিকটিমকে ঘিরে ধরে। মোটরসাইকেলে থাকা প্রধান আসামি মোমিন গাজী ও অজ্ঞাতনামা আরো দুজন আসামি তাদের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ভাবে গুলি চালায়। যার ফলে ভিকটিমের গলার ডানপাশে, ঘাড়ে এবং চয়ালে গুলি লেগে চোয়াল সহ গলা শাসনালীর মাংস ছিড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে আসামিরা কেয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি করে মোটরসাইকেল যোগে এবং বিভিন্ন দিকে দোড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনরা সুমনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালে আসার পুর্বে মৃত্যু বরন করেছে বলে জানায়। এ ঘটনায় সুমনের বাবা বুধবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব- ৬ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং আসামি দের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলার ফুলতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply