রহমত -ই- খোদা: খুলনা বিভাগের যশোর জেলা থেকে ৩৯টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা ও ৩টি উপজেলা সহ ৬৫১টি গ্রামকে ১৯৮৪ সালে যশোর মহাকুমা থেকে আলাদা করে নড়াইল জেলা প্রতিষ্ঠিত করা হয়। আর তার পর থেকেই এই জেলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী, পাতি মাস্তান, কিশোর গ্যাং ও ৬৫১টি গ্রামে শুরু হয় ক্ষমতার নড়াই।
বর্তমানে নড়াইল জেলার কালিয়া-১ ও নড়াইল-২ আসনের কয়েক হাজার পরিবার রাজনৈতিক কারণে এবং গ্রামের আধিপত্যের কবলে পড়ে নিঃস্ব। এমনকি তাদের ঘরবাড়ি ভারতীয় আরএসএস ও বিজেপির কায়দায় ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এই জেলায় ভারতীয় আগ্নেয় অস্ত্র এবং ভারতীয় স্টাইলে দেশীয় অস্ত্রের ঝনঝনানিতে কাপে নড়াইল জেলা।
দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার এক অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে একদলীয় শাসনের কারণে ফ্যাসিবাদী ও উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীদের রাজত্ব বেড়েছে। এদের বিরুদ্ধে কথা বললে হারাতে হয় অঙ্গ অথবা জীবন। ইতিমধ্যে কয়েকশো হত্যার ঘটনা নড়াইল জেলায় ঘটে গিয়েছে। তবে এসব মামলার দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখেনি নড়াইলবাসী। তবে এখনও শত শত সাধারণ নাগরিকদের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ক্ষত দৃশ্যমান রয়েছে। নড়াইল জেলার পুলিশ প্রশাসন অপরাধীদের সহযোগী হয়ে কাজ করে তার মুলে রয়েছে টাকা আর লুটপাটের ভাগবাটোয়ারা।
গত বছর ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানের পরেও আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারীদের হামলায় মানুষের অঙ্গ এবং জীবন হারিয়ে যাচ্ছে। ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও পতন হয়নি গ্রামের ফ্যাসিবাদীদের। নড়াইল জেলায় বর্তমানে আতংক বিদ্যোমান রয়েছে। যদি অপরাধীদের নিয়মিত করতে পুলিশ প্রশাসন আবারও ব্যার্থ হয় তাহলে লাশের সারি এবং অঙ্গহানির লাইন বেড়ে যাবে। এমনিতেই সাধারণ নাগরিকদের পুলিশ প্রশাসনের উপর কোনো বিশ্বাস ভরসা নাই কারণ তারা অপরাধীদের সুবিধা দিতেই গায়ে পোষণ জড়িয়েছে এমনটাই মনে করেন অনেকে।
Leave a Reply