মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের( কুয়েট) উদ্ভত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও শিক্ষার্থীদের দাবি
গুলো পর্যালোচনা করতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ( ইউজিসি) প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি দাবি গুলো পর্যালোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ২৩ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে ইউজিসির প্রতিনিধি দল কুয়েটে পৌছায়। তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তনজিম উদ্দীন খান,বুয়েটের অধ্যাপক সাইদুর রহমান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব শিবলী। প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে। তারা অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা চালান। যদিও তারা একজন মাত্র শিক্ষার্থীকে অনশন থেকে সরিয়ে আনতে সফল হন। অন্য শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যেতে দৃঢ় থাকেন। পরবর্তী সময়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠক করেন। দীর্ঘ দুই ঘন্টার এ বৈঠকে শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর সংঘটিত হওয়া হামলা,তাদের আন্দোলন ও দাবি গুলো তুলে ধরেন। বৈঠকে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানান, তারা পুরো চিত্র প্রতিনিধি দলের কাছে উপস্থাপন করেছেন এবং ভিসি কতৃক মিডিয়া ও শিক্ষকদের কাছে গুজব উপস্থাপন করা হয়েছে,সেগুলো খন্ডন করেছেন। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, প্রতিনিধি দল তাদের যথাযত বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রতিনিধি দল বলেছে, একটা বিশ্ববিদ্যালয় যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রতিনিধি দল তাদের জানিয়েছেন তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের সুপারিশ পেশ করবে। সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীরা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, দুই মাস আগে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হলেও সেটার কোন অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বরং বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা খবর পেয়েছেন স্মারকলিপির ব্যাপারে অনেকেই জানেন না।এর আগে সকালে পৌনে ১০ টার দিকে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল ( সিআর) আবরার তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এই গরমে তোমরা যারা অনশন করছ এবং অনশনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান দৃঢ়তা তুলে ধরেছ, তোমাদের বলতে চাই, প্রক্রিয়া চলমান আছে। খুব শীর্ষই তদন্ত কমিটি আসবে। তারা তোমাদের সাথে কথা বলবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বহিরাগত, সাধারন শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে অন্তত অর্ধশতাধীক ব্যক্তি আহত হন। এর পর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় একাডেমিক কার্যক্রম হল অনির্দিস্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষার্থীরা গত ১৩ এপ্রিল আবারও ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
Leave a Reply