মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো : টানা সাড়ে ২১ ঘন্টা আমরন অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছে কুয়েটের এমটিই বিভাগের ২৩ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী। বেলা ১২ টায় ঔই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারের কর্মকর্তারা তার সেবা করেন। এসময় তাকে মেডিকেল সেন্টারে ভর্তির অনুরোধ করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আসীকৃতি জানান। আন্দোলনকারীদের অনুরোধে তার নাম প্রকাশ করা হলো না। এদিকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যান দপ্তরের পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালক সহ বেশ কয়েকজন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় যান। এসময় শিক্ষার্থীদের আবারও অনুরোধ করেন অনশন থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার। এছাড়া তারা এ সময় শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা তাতে সাড়া দেননি। এর আগে সোমবার ২১ এপ্রিল পুর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী দুর্বার বাংলা পাদদেশের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকে। এর পর বেলা তিনটায় সেখানে জড়ো হওয়া দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় পুর্ব দিকে অবস্থান নেয়। এর পর সেখানে বিভিন্ন বিভাগের ৩২ জন শিক্ষার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে আমরন অনশন শুরু করে।বাকি শিক্ষার্থীরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের চারদিকে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে উৎসাহ প্রদান করে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যান দপ্তরের উদ্যোগে অর্ধশতাধিক শিক্ষক গতকাল সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের আমরন কর্মসুচি থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার প্রানপন চেষ্টা করেন। সকালে তারা আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেন। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় সংবাদ সন্মেলন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহবান জানান। বেলা আড়াইটায় ছাত্র কল্যান পরিচালক সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালক সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল পরিমান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পুর্ব নির্ধারিত অনশনস্থল স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় অবস্থান নেন। এর পর বেলা তিনটার পর অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে সরে এসে আলোচনা টেবিলে বসার আহবান জানিয়ে একাধিক শিক্ষক বক্তব্য রাখেন। এসময় শিক্ষকরা তাদের জুস পান করার অনুরোধ জানিয়ে অনশন থেকে সরে আসার আহবান জানান।এভাবে টানা আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়েও শিক্ষার্থীদের নমনীয় করতে না পেরে ছাত্র কল্যান দপ্তরের পরিচালক সহ শিক্ষকরা সেখান থেকে চলে যান। এবং যাওয়ার সময় তারা বলে যান আমরা আবারোও তোমাদের কাছে আসবো। আলোচনার সুযোগ সব সময় রয়েছে।
Leave a Reply