মো: রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো : উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। দাবি পুরন নাহলে আগামীকাল সোমবার দুপুর থেকে আমরন অনশন কর্মসুচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা। ২০ এপ্রিল দুপুর আড়াইটায় ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিং এ কর্মসুচির ঘোষণা করা হয়। ইইই বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈকত ও আইইএম বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উপল। শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, আমরা কয়েকজন ঈদের পর আন্দোলন থেকে আলোচনায় যাওয়ার ব্যাপারে রাজি ছিলাম। প্রশাসনকে অনুরোধ করেছিলাম, দ্রুত হল খুলে দেন। অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো। যদি ৫ দফা বাস্তবায়ন বা নিশ্চয়তা পাওয়া যায় পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসায় আমাদের আপত্তি ছিল না। কেন এক দফা? কেনো একদফায় পৌছালাম।
প্রেসব্রিফিং এ শিক্ষার্থীরা বলেন,
Vok কে আশ্রয় দেওয়ায় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি ফেরত আনার চেষ্টা, সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যার্থ হওয়া, ব্যার্থতা সীকার না করে লেইট হইসে বলা, ৫০০ জনের নামে একটি দুর্বল অজ্ঞাতনামা মামলা দিয়ে দুই মাসেও একজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হওয়া, পানি ওয়াইফাই অফ করে হল ভ্যাকেন্ট করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করা, জুলাই সহ সকল গ্রাফিতি মুছে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ঈদের পরে, হল না খুলে দিয়ে আমাদের দুই দিন খোলা আকাশের নিচে শুয়ে থাকতে বাধ্য করা, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের তথ্য দিয়ে উল্টো শিক্ষার্থীদের নামে একটা সর্নের চেইনের চুরির মামলা করা, তদন্ত কমিটি দিয়ে ৩০ জনকে বহিষ্কার ও আন্দোলন থেকে সরে আসতে হুমকি, আবার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আরেকটা তদন্ত কমিটি খোলা সাইবার বুলিং এর নাম করে, ইউনিয়ন বিএনপির নেতার পেছনে আমাদের সন্মানিত শিক্ষকদের আমাদেরকে দাড় করিয়ে দেওয়া, সন্ত্রাসীদের হাতে ভার্সিটির সিসিটিভি ফুটেজ তথ্য তুলে দেওয়া। তারা বলেন, দমন পীড়নের আর কী বাকী রয়েছে? আমরা বলতে পারি, এথিক্যালি কোন ভুল কাজ করি নাই। বৈষম্যর কমিটি আমার পোস্টের জন্য বিলুপ্ত করতে বাধ্য হয়। এর পর আমি না ছিলাম ছাত্র দলের কর্মীদের সাথে তথাকথিত ধাক্কাধাক্কিতে অথবা ১৮ তারিখ ভিসির আশপাশেও কখনো ঘেষি নাই, রাত ৯ টা পর্যন্ত খাজার দিকে ছিলাম। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দুই তিনজনকে হয়ত শাস্তি দিতে পারতেন। কিন্তু আমাকেও প্রেসার দেওয়া হলো বহিষ্কার, এসব তুলে নেওয়া হবে, যদি আন্দোলন থেকে সরে আসি। আমরাত কোন অন্যায় করি নাই। তারা আরো বলেন, আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের বলবো, আমরা আপনাদের হয়তো আমাদের অবস্থান বুঝািতে পারি নাই। কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিল। তা আমাদের ব্যর্থতা। তার জন্য দরকার হলে ক্ষমা চাইবো। কিন্তু আমরা সব শান্তিপুর্ন আন্দোলন করছি। বিল্ডিং এ তালা মারা, মোমবাতি জালানোর জন্য বহিষ্কার। আমাদের গুলি ছুড়বে, হলে নিচে এসে কোপায়ে পার পেয়ে যাবে। এটা আমরা নিতে পারি নাই। এসব দেখেই সামনে দাড়াইছি। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দীর্ঘ দুই মাস ধরে চলা ন্যায্য আন্দোলনে একবারো ইন্টেরিম আলোচনা করিনি। হামলা,মামলা,বহিষ্কার দেওয়ার পরও এই ভিসিকে অপসারণ করিনি। আমরা ক্লান্ত, আমরা হতাশ, ব্যর্থ। আমাদের হাতে আর কিছু করার নাই। আমরা ইন্টোরকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলাম। এই ভিসিকে অপসারণ না করা হলে এর পর আমরা আমরন অনশনে বসবো। আমাদের আর দেওয়ার কিছু নাই, জীবনটা আছে এটাই দিয়ে দিবো। অন্যদিকে শিক্ষকরা বলছেন, আন্দোলন করছে অল্প কিছু শিক্ষার্থী। তারা সব শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করে না। আন্দোলন না করে তাদেরকে আলোচনায় বসার আহবান জানান।
Leave a Reply