মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো : খুলনার ডুমুরিয়ায় চুকনগর বাজারে হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুপুর থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঔই সংঘর্ষের উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, হামলায় এক পক্ষের নেতৃত্ব দিয়েছেন আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ হেলাল উদ্দিন এবং আরেক পক্ষের নেতৃত্ব দিয়েছেন ঔই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৌলত সরদার। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সাভাবিক করে। আহরা হলেন, আটলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ঔই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৌলত সরদার, হেলাল উদ্দিনের পক্ষের সুলতান সেলিম, দেবব্রত রায়, অসিম শেখ ও রানা শেখ এবং দৌলত সরদারের পক্ষের আবু হাসান রুস্তম ও আমিনুল ইসলাম। হেলাল উদ্দিন বাদে অন্যরা সবাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পহেলা বৈশাখ চুকনগর বাজারের হাটের ইজারা মেয়াদ শেষ হয়। এর পর বাজার ও স্থানীয় মসজিদ কমিটি মিলে কয়েক সপ্তাহ ইজারা তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। যে টাকা উঠবে সে টাকা অনুযায়ী আবারও হাট ইজারা দেওয়া হবে। ইজারা নেবে বাজার মসজিদ কমিটি। কিন্তু মঙ্গলবার আটলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৌলত সরদার তার লোকজন নিয়ে হাটের ইজারা তুলে নেন।গতকাল আবারও ইজারা তুলতে গেলে বাধা দেন হেলাল উদ্দিনের লোকজন। এনিয়ে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে দফায় দফায় ঔই সংঘর্ষ চলে। চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বলেন, ৫ আগষ্টের পর দৌলত সরদার একের পর এক চুকনগর বাজারের সব কিছু দখল করে নিচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে বাজারের হাট ও দখল করে নেওয়ার পায়তারা করেন। বাজার ও মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত না মেনে গত্ মঙ্গলবার নিজের লোক দিয়ে হাট ইজারা টাকা তুলে নেন। গতকাল আবার টাকা তুলতে গেলে বাজারের সবাই বাধা দেন। যেহেতু তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেজন্য বাজার কমিটির সবাই ইউনিয়ন পরিষদে এসেছিলেন। পরে দৌলত সরদার লোকজন নিয়ে এসে ইউনিয়ন পরিষদে হামলা করেন। ঔই হামলায় তাদের কয়েকজন আহত হন। তিনি বলেন, দৌলত সরদারের হামলার পর স্থানীয়রা জড়ো হয়ে দৌলত সরদারের পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এর সাথে তিনি জড়িত নন। দৌলত সরদার বলেন, মসজিদের নামে হাট ইজারা নিয়ে মুলত লাভবান হতে চাইছেন চেয়ারম্যান। তিনি এমনভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছেন যাতে এক বছরে অন্তত ১৫ লাখ টাকা নিজের পকেটে রাখতে পারেন। মুলত সেজন্য আজ তার লোকজন ইজারা তুলতে গিয়েছিল। কিন্তু হেলাল চেয়ারম্যানের লোকজন বাধা দিয়ে মারধর করে তাদের সেখান থেকে বের করে দিয়েছেন। পরে তাদের ওপর কয়েক দফা হামলা করা হয়েছে। ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: মাসুদ রানা বলেন, হাটের ইজারা উঠানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের কয়কজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছেন তিনি। তবে, বিকেল পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। পরিস্থিতি এখন সাভাবিক রয়েছে।
Leave a Reply