নান্নু মিয়া ,সাভার: দৌলতপুর উপজেলার রাহাতপুর চরে দাপটের সঙ্গে চলছে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন। প্রতিদিনই বাল্কহেড কাটারসহ ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে নদী থেকে তোলা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বালু। এতে পরিবেশ বিপর্যয় ও নদীভাঙনের শঙ্কা বাড়ছে আশপাশের এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই অবৈধ বালু ব্যবসার মূল হোতা মিলন বিশ্বাস। তিনি স্থানীয় ক্যাডার বাহিনী ব্যবহার করে এলাকা নিয়ন্ত্রণে রেখে দীর্ঘদিন ধরে এই বালু বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না—কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধামকির শিকার হতে হয়। অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে মিলন বিশ্বাস মুঠোফোনে বলেন, “রাহাতপুর চরে আমি আজকে থেকেই বাল্কহেড কাটার বসিয়ে বালু কাটবো, এবং এ ব্যাপারে সব জায়গায় আমার ম্যানেজ করা হয়ে গেছে।”এই বক্তব্যে স্পষ্ট যে, প্রভাব খাটিয়ে তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন মহলকে ‘ম্যানেজ’ করার দাবি করছেন, যা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে। সাধারন মানুষের প্রশ্ন কে এই মিলন বিশ্বাস। তার অপশক্তির হাত কত বড়। কারা শক্তি জোগাচ্ছে এর পিছনে। এই মিলন বিশ্বাস এর মতো লোকদের কারনে দেশ ও জাতি হুমকির স্বীকার হচ্ছে। এই মূহুর্তে এদের ব্যাবস্থা না নিলে দিন দিন এদের অপশক্তি বেড়েই চলবে। নদী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে বালু তোলা চলতে থাকলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হবে এবং চরের জমিগুলো দ্রুত বিলীন হয়ে যাবে। এ ছাড়া জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়বে।এলাকাবাসীর দাবি, রাহাতপুর চরের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে মিলন বিশ্বাসসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং প্রশাসনের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা হোক।
Leave a Reply