সিলেট প্রতিনিধি: আবু জাহিদ নাদের আজাদ, কমিটির তৎকালীন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি । আওয়ামী লীগের এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন, সিলেট গ্যাস ফিল্ডে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ বাণিজ্য এবং অসহায় শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন ধরনের নিপীড়ন চালিয়েছেন। সেই আওয়ামী লীগ নেতা এখন প্রমোশন পেয়ে গ্যাস ফিল্ডে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং বিভিন্ন মিছিলে উৎসাহ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, এই নেতার কারণে আওয়ামী লীগের সময় অফিসার থেকে শুরু করে গ্যাস ফিল্ডের সাধারণ কর্মচারীরাও কোনো কাজেই ছাড় পাননি। একদিকে রাজনৈতিক ক্ষমতা, অন্যদিকে প্রভাবশালী অফিসারদের সমর্থন—এই বিষয়গুলো নিয়ে তৎকালীন সময়ে গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে ভয় পেত। আজ সেই লোককেই প্রমোশন দিয়ে উচ্চপদে বসানো হয়েছে। গ্যাস ফিল্ডের একটি পক্ষ দেশের জন্য, সমাজের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের জন্য আমরা কখনো শান্তি পাইনি। সিলেট গ্যাস ফিল্ডের এক কর্মচারী বলেন, “আমরা অসহায় শ্রমিক ও অফিসাররা তাদের ক্ষমতার কারণে যে কোনো সময় যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্তের শিকার হতে পারি। আমরা তাদের কাছে জিম্মি। সেই সুবাদে এই আওয়ামী লীগ নেতা তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনেককে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করেছেন। তিনি গ্যাস ফিল্ডে চাকরি করেও একটি স্কুলের দায়িত্ব পালন করছেন—এটা কিন্তু আমাদের সংবিধানে নেই।” আরেকজন বলেন, “কিছুদিন আগে সিলেটের ছাত্রলীগ মিছিল করেছে। সেই মিছিলের নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। প্রবাসে থাকা বা পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তিনি অফিসেই বসে বিভিন্ন সময় কথা বলেন। আমরা দেখেও না দেখার ভান করি। রঞ্জিত সরকার, পলাতক এমপি আজাদুর রহমান আজাদ, শফিউল আলম নাদেল—তাদের সঙ্গেই তার যোগাযোগ। বিভিন্ন সময় গোপনে থাকা ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে মিছিল করার জন্য উৎসাহ দিয়ে থাকেন। এগুলো আমরা দেখেও না দেখার ভান করে বসে থাকি। কথা বললেই আমাদের সিলেট গ্যাস ফিল্ড থেকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়
Leave a Reply