এস,এ, লিমন, নাগেশ্বরী উপজেলা প্রতিনিধি: বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অতিমাত্রায় দিল্লি নির্ভরতার কারণে আমরা জাতি হিসেবে অনেক পিছিয়ে গেছি। আমরা আশাবাদী চীনের সঙ্গে আমাদের দেশের পুরনো সম্পর্কের ধারাবাহিকতা যদি রক্ষা করতে পারা যায়, বাংলাদেশ মেরুদণ্ড সোজা করে বিশ্ব দরবারে দাঁড়াতে পারবে। চীন বাংলাদেশ বন্ধুত্বের যে হাসপাতাল চীন সরকার তিস্তা পারে তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে তা কুড়িগ্রামেই হওয়া উচিত।
১. রংপুরে দেশের নামকরা সব ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং হাসপাতালের শাখা রয়েছে এছাড়াও রয়েছে একটি স্বনামধন্য মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, দিনাজপুরে রয়েছে আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল, পর্যায়ক্রমে নিলফামারী তো একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে,,
তাই বিবেচনা করে দেখলে হাসপাতাল টির সর্বোত্তম প্লেস হয় কুড়িগ্রাম ।
২. দীর্ঘদিন ধরে কুড়িগ্রাম উত্তরবঙ্গের অন্যতম অবহেলিত জনপদ , বর্তমানে কুড়িগ্রাম গাইবান্ধা যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার কারণে গাইবান্ধা সহ আশেপাশের জেলাগুলোর সাথে কুড়িগ্রামের দূরত্ব কমিয়ে এসেছে এতে সহজেই গাইবান্ধা থেকে শুরু করে আসে পাশের জেলা গুলো চিকিৎসা সেবা নিতে খুব দ্রুতই আসতে পারবে , এদিক থেকে বিবেচনা করলেও কুড়িগ্রামই হয় চীন বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের অন্যতম প্লেস ।
৩. কুড়িগ্রামে রয়েছে দুটি স্থল বন্দর
তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সোনাহাট স্থলবন্দর যা কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় অবস্থিত,
চিন বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল কুড়িগ্রামে হলে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণ যোগ্যতা পাবে এবং সোনাহাট স্থল বন্দরকে কাজে লাগিয়ে ভারতের কোচবিহার , দিনহাটা , ধুবরী, সহ আশেপাশের জেলাগুলোর রোগীরা খুব সহজেই আসতে পারবে ।
চীন বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল হতে পারে এই অবহেলিত জনপদ কে এগিয়ে নেওয়ার অন্যতম উপায়।
৪. দীর্ঘদিন থেকে কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের প্রাণের দাবি কুড়িগ্রাম জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হোক ।
যদি কুড়িগ্রামে চীন বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল হয় তাহলে কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের বহু বছরের এই আশা পূরণ হবে।
সেই সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত দরিদ্র এই জনপদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ ও চীন মৈত্রী হাসপাতাল।
Leave a Reply