নিজস্ব প্রতিনিধি: নড়াইল লোহাগড়ায় পল্লীবিদ্যুতের তালিকা ভুক্ত ইলেকট্রিক মিস্ত্রি নামে পরিচিত মুখ মো. ইমরান হোসেন। সম্প্রতি ইমরান একটি টিভি চ্যানেলের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে তদবির বানিজ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইমরানের বাড়ি উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হলেও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ইন্ডিয়া থেকে ব্লাকে কোম্বল, চাদর এবং প্রসাধনী দেশে এনে বিভিন্ন স্থানে কৌশলে বিক্রি করাই তার কাজ। এছাড়া গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় ব্যবহার করে স্থানীয় প্রশাসনকে চাপে রেখে সারের ডিলারশিপের লাইসেন্স, খাদ্যবাধ্যবের লাইসেন্স, বয়স্ক/বিধবা ভাতা, মাতৃকালিন ভাতাসহ বিভিন্ন কাজ করার তদবির করেন তিনি। তবে এসব কাজে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা শোনা যায়। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে সুবিধাভোগী ইলেকট্রিশিয়ান ওই ইমরানের মিথ্যা প্রলাপে অতিষ্ঠ হয়ে ইউএনও লোহাগড়া এর আইডি থেকে“ মিডিয়া সেল, জেলা প্রশাসন নড়াইল” এর ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রæপে যা লেখা হয়েছে তার কয়েক লাইন তুলে ধরা হল, “ইমরান সাহেব, আপনার সারের ডিলারশিপের লাইসেন্স, খাদ্যবান্ধবের লাইসেন্সসহ অন্যান্য তদবিরের জন্য লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার আপনার ফোন ধরতে বাধ্য নয়। ইউএনও অফিস ছাড়াই সারা উপজেলায় মিটিং এবং ব্যাক্তিগত পারিবারিক প্রয়োজনে ব্যস্ত থাকেন। আপনার নিউজ সংগ্রহের দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেন নাই। আপনার নিউজ আপনি নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করবেন।” সব শেষে ওই ফেসবুক আইডি থেকে সকল সাংবাদিকদের ধন্যবাদও জানানো হয়েছে।
এসব বিষয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইমরান হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পল্লী বিদ্যুত্যের ইলেট্রিক কাজের পাশাপাশি এলাকার কিছু লোকের উপকার করে থাকি। তবে এর বিনিময়ে কোন টাকা নেই না।
Leave a Reply