নিজস্ব প্রতিবেদক: বিয়ে ব্যবসায়ী ছাত্রলীগ নেতা মো: জাহাঙ্গীর পিতা: জহুরুল, মাতা: জোসনা, গ্রাম : জালালপুর, ডাকঘর : ওসমান পুর, জেলা: দিনাজপুর। মেয়েদের প্রতারণার ফাদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া তার পেশা।তিনি তার বৈবাহিক অবস্থা গোপন করে একাধিক বিবাহ করেছেন। ভুক্তভোগী নারীরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ, এবং আদালতে মামলা করেও সুষ্ঠু বিচার পায় নি।এই সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আইনকে বৃদ্ধা আংগুল দেখিয়ে এখন ও বহাল তবিয়াতে আছে। তার বিভিন্ন মামলা সমূহ ১।সি আর ১৫৮-২১ ঘোড়াঘাট ,(২)সি আর২৭৯/২০২৪ ঢাকা,(৩)সি আর২৯৬৯/২০২৪ টাংগাইল, (৪)৬২/২০২৫ টাংগাইল।ফ্যাসিস্ট সরকারের নেতা হওয়ার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ বাণিজ্য, আদিবাসী দের জমি দখল, আর্মি ল্যান্ডের জমি ক্রয় বিক্রয়,স্ত্রীদের দিয়ে এনজিও,ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে সে টাকা হাতিয়ে নেয়া তার আয়ের আরেক টি উৎস। জাহাঙ্গীরের প্রতারণার স্বীকার হয়ে তার সাবেক স্ত্রী গন এখন ঋণে জর্জরিত হয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই প্রতারক জাহাঙ্গীর তার ভোটার আইডি কার্ড জন্মসাল জালিয়াতি করে LGED তে ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে চাকুরী নেন।কর্মস্থলে অনুপস্থিতি থেকেও তিনি অদৃশ্য শক্তিবলে সরকারের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা, বেতন ভাতাদি ভোগ করেছেন। অফিসে অনিয়ম, দূর্নীতি, সহর্কমী কে হেনেস্থার দায়ে জাহাঙ্গীর এর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার LGED অফিসে কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে।LGED (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) আগারগাঁও তেও এই কুখ্যাত জাহাঙ্গীর এর নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার অভিযোগ সমূহর স্মারক নং (১)৪৬.০২.৩২৬৭.২৭.০০১.২০১৯-৫৬৯ (২)৪৬.০২৩২৬৭.২৭.০০১.২০১৯-২৯ (৩)২৫/৫/২০২৩-৪৮৭ (৪)৪৬.০২.৩২৬৭.২৭.০২.১৮-১১৮৭০ (৫)৪৬.০২.০০০০.১৫০.২৭.৫২৭.২৫-৮১৫। ২০১৯ সালে জাহাঙ্গীর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মিরপুর -২, স্টাফ গন এই প্রতারক জাহাঙ্গীর কে প্রতারণা ও জালিয়াতির দায়ে মিরপুর মডেল থানা -২ এর পুলিশ এর সোপার্দ করে।ক্ষমতা দাপটে তার বিরুদ্ধে কোনো লিগ্যাল স্টেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। মুচলেখা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন থানায় তার নামে একাধিক অভিযোগ হলেও ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর হবার কারনে থানা যেন তার আত্নীয় বাড়ি ছিলো। দিন দিন তিনি আর ও দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে উদ্দাম গতিতে তার অপরাধ পরিক্রমা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ২০২২ সালে ওসমানপুর নিবাসী সুমি আক্তার, পিতা: কেনান,(চা দোকান দার) তার প্রতারণা র স্বীকার হয়ে সুইসাইড করেন। ছাত্রলীগ পদবী ধারী সন্ত্রাসী হওয়ার কারনে এই ন্যাংকার জনক ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়। আর্থিক স্বছলতা,সরকারি চাকুজীবী হওয়া সত্ত্বেও জালালপুর গ্রামে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের ১ টি ঘর তিনি কবজা করেন।এত অভিযোগ, দূর্নীতি, মামলার পরেও এই সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর অদৃশ্য শক্তিবলে এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে।
Leave a Reply