মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো: ভোর থেকে নববর্ষের উৎসব মেতেছে দেশের মানুষ নতুন পোশাক সহ বাহার সাজে শোভাযাত্রা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। তবে এই উৎসব স্পর্শ করেনি খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের। হল না খোলায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন তারা। এখনও সেখানে অবস্থান করছেন ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। প্রচন্ড তাপদাহের কারনে অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে শারীরিকবভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ গতকাল রাত থেকে প্রশাসনিক ভবনের বাথরুম তালা বন্ধ করে রাখে। যে কারনে আমাদেরকে পাশ্ববর্তী ভবনে গিয়ে বাথরুম ব্যবহার করতে হচ্ছে। খাওয়া দাওয়া ও বিভিন্ন প্রয়োজনে বাহিরে গেলে নিরাপত্তা কর্মিরা আমাদেরকে হেনস্থ করছে। সকালে অনেক শিক্ষার্থী ভিতরে ঢুকতে চাইলে তাদেরকে নিরাপত্তা কর্মিরা বাধা সৃষ্টি করে। তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা আক্ষেপ করে বলেন, গত ৫ বছর রমজান মাসের মধ্যে বাংলা নববর্ষ থাকায় আমরা বাংলা নববর্ষ উৎযাপন করতে পারিনি। এ বছর আমরা আশায় ছিলাম বাংলা নববর্ষ উৎযাপন করবো। কিন্তু দুঃখের বিষয় এবছর বাংলা নববর্ষের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলার দাবিতে আমাদেরকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে রাত কাটাতে হল।রবিবার ১৩ এপ্রিল দুপুর তিনটায় পুর্ব নির্ধারিত কর্মসুচি অনুযায়ী কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। বিকালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে কতৃপক্ষের নিকট আবেদন জানায় তারা। হল খুলে দেওয়ার জন্য রাত ৮ টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কতৃপক্ষ দাবি মেনে না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে রাত যাপন করে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আজ বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যান দপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রফেসর রাজু আহমেদ এসে আমাদের জানিয়েছেন আজ সন্ধ্যা ৭ টায় সিন্ডিকেটের সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সভার এজেন্ডা সম্পর্কে আমাদের কিছু জানায়নি। এসময় তিনি আমাদেরকে অবস্থান থেকে চলে যেতে অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীরা সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত জানার পর পরবর্তী কর্মসুচি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন।
Leave a Reply