মোঃশাহিদুল ইসলাম, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা বিভিন্ন স্হানে চলছে পুকুর খননের নামে মাটি কাটা মাটি বিক্রি। ধ্বংস হচ্ছে ফসলি জমি-করছে শ্রেণী পরিবর্তন। মাসের পর মাস এমনকি সারা বছর জুড়ে মাটি ব্যবসায়ীরা
মাটি কেটে বিক্রি করছে।গ্রামীণ সড়কে মাটি বোঝাই ট্রলি গাড়ি ও ড্রাম ট্রাক চলাচল করায় গ্রামীণ সড়ক গুলো নষ্ট হচ্ছে।
স্হানীয় লোকজন জানান প্রশাসনিক ভাবে জোরালো কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় মাটি কাটা কোথাও থামছেনা।
উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়ন এর জুঙ্গুরদী বড় চকে পুকুর খননের নামে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মাটি বিক্রি করছেন ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা ওহিদ মেম্বার। মাটি কাটা চলমান রয়েছে। লস্কারদিয়া মাঝিকান্দা বাজারের পাশে জাফর জুমাদ্দার এর পুকুর খননের নামে মাটি কাটা মাটি বিক্রি চলছে।
রামনগর ইউনিয়ন এর দুলার ডাঙ্গী গ্রামের ফসলী জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন হারুন নামে আওয়ামী লীগের এক মাটি ব্যবসায়ী ও মোশা নামে এক মাটি ব্যবসায়ী।
জুঙ্গুরদী ও দুলার ডাঙ্গী ফসলী মাঠের জমি পুকুর খননের নামে মাসের পর মাস মাটি কাটা চলছে।
মাটি ব্যবসায়ীরা জমির মালিকদের ফ্রীতে বা অর্থের চুক্তিতে পুকুর খনন করে দেওয়ার কথা বলে রাতের আঁধারে ফসলী জমির মাটি কেটে বিক্রি করে জমির শ্রেনী পরিবর্তণ করছে।
মাটি ব্যবসায়ীরা মাটি বহন করার কাজে অধিক ট্রলি ও ড্রাম ট্রাক ব্যবহার করছে। সড়কে মাটি বোঝাই ট্রলি গাড়ি ও ড্রাম ট্রাক চলাচল করায় রামনগর ইউনিয়ন এর রাধানগর, দুলার ডাঙ্গী, গজগাহ,কৃষ্ণনগর,কুঞ্জনগর,সহ ১৫/২০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের কার্পেটিং নষ্ট হওয়া সহ সড়কে ফাটল ও গর্থের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে কাদামাটি পড়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই দূর্ঘটা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সড়ক দিয়ে মাটি বোঝাই ট্রলি ও ড্রাম ট্রাক দিন- রাত চলাচলে গাড়ীর চাক্কার ধুলায় আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সড়কের পাশের বাড়িঘর ধুলায় ডেকে যাচ্ছে। শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে । মাঝে মধ্যে ঘটছে দূর্ঘটনা।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রলি গাড়ি ও ট্রাকে মাটি বোঝাই করে সড়ক দিয়ে চলাচল করায় সড়ক নষ্ট হচ্ছে। আমাদের কেউ জানালে আমরা ইউএনও স্যাররকে অবগত করি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির বলেন,উপজেলার যে কোন যায়গা মাটি কাটার কথা জানা মাত্র তহসিলদার ও লোক পাঠিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।অভিযান করে জরিমানা করা হয়েছে।এই জায়গায় গুলোতে অভিযান করা হবে।
Leave a Reply