রফিক মাহমুদ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামুতে ক্ষতিকর তামাক চাষে ছেয়ে গেছে , যত্রতত্র পোড়ানো হচ্ছে তামাক। স্কুল-মাদ্রাসার আশে পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য তামাকঘর।
রামু উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে গড়ে উঠা তামাকঘর সরাতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন রামু উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে যেসব তামাক পড়ানোর ঘর রয়েছে। সবগুলো আগামী ৭ দিনের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে। না হলে পরিবেশ রক্ষার্থে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ভেঙে ফেলা হবে।
চলতি বছর রামুতে ১৪০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সরেজমিনে দেখা গেছে, রামুর রাজারকুল, কাউয়ারখোপ, মনিরঝিল, মৈষকুম, গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়ার নাপিতেরচর ও ফাক্রিকাটা এলাকায় বাঁকখালী নদীর দুই তীরে তামাকের ক্ষেত। এ ছাড়া ফসলি ক্ষেতে এবং পাহাড়ি এলাকায় চাষ বেড়েছে তামাকের।
বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। স্বাস্থ্য ও পরিবেশে ঝুঁকি জেনেও অনেকেই অতিরিক্ত লাভের আশায় তামাক চাষ ছাড়তে পারছে না।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ইতিমধ্যে বেশ কটি বেসরকারি সংস্থা কক্সবাজার জেলায় কাজ করলেও কৃষকের পক্ষ থেকে তামাক চাষ বন্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে অনেকটা বিনা বাধায় স্থানীয় কৃষকদের জিম্মি করে নানা প্রলোভন দেখিয়ে তামাক কোম্পানিগুলো প্রতিবছর তামাক চাষে বিনিয়োগ করে আসছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা রামু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, তামাক কোম্পানিগুলোর ঋণসহায়তার নামে লোভনীয় প্রলোভনের লোভে ফেলে তামাক চাষে বাধ্য করে। দিন দিন তামাক চাষের প্রবনতা বেড়ই চলেছে। তামাকে অতিরিক্ত কীটনাশকও সার প্রয়োগের ফলে নদী দূষন বেড়েই চলেছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশও জীববৈচিত্র্য। পাশাপাশি তামাক পোড়ানোর কাজে ব্যবহার বনের সংরক্ষিত বনের গাছ।
যেখানে তামাক চাষ হয় সেখানে অন্য ফসল হয় না।
Leave a Reply