ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ বড় ভাই সুধীর চন্দ্র সেন ঋণের কারণে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করে। ছোট ভাই পরিতোষ চন্দ্র সেন বাড়িটি দেখা শোনার জন্য পরিবারসহ বসবাস করে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে। এদিকে সুধীর চন্দ্র সেনের স্বাক্ষর করা একটি স্ট্যাম নিয়ে সেই বাড়ির দাবি করে তারাই কাকাতো ভাই রতন চন্দ্র সেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার ১৪ নং রাজাগাঁও ইউনিয়নের খড়ি বাড়ি গ্রামে। পরিতোষ চন্দ্র সেন অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই বেশ কয়েক মাস আগে ভারতে চলে যায়, যেহেতু বাড়ির জমিসহ আমার বাবার পৈতৃক তাই আমি বাড়িটি দেখাশোনার জন্য বাড়িতেই বসবাস করে আসছি। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যার আগে রতন চন্দ্র সেন, লক্ষ্মণ চন্দ্র সেনসহ স্থানীয় বিএনপির নেতা আহসান মাস্টারের যোগসাজশে বাড়িতে হামলা করে আমি বাইরে ছিলাম আমার স্ত্রী আমাকে ফোনে জানালে আমি ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশের সহায়তা চাই। তিনি আরও বলেন পুলিশ এসে আমার পরিবারকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরিতোষ চন্দ্র সেন এর স্ত্রী কান্না করতে করতে বলেন আমি বাসার ভিতরে ছিলাম সন্ধ্যার একটু আগে বাইরে থেকে লোকজন গেইটে হামলা করে এবং বলে গেইট খুল, আমি তো ভয় ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ দেই। তারপর বাড়ির পিছন দিক থেকে টিনের বেড়া ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে আমিসহ আমার বাচ্চাটাকে মারপিট করে জোর পূর্বক বের করে দেয়, আমি অনেক অনুরোধ করছি বলছি ঘরে চাউল ডাল আছে গরু ছাগল আছে, তারপর শুধু গরু ছাগল নিয়ে বের করে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন আমি পরিবারসহ সারারাত দূর্গা মন্দির মাঠে রাত্রিযাপন করি। অন্যদিকে স্ট্যামে ক্রেতা নামী রতন চন্দ্র সেন এর বাড়িতে এবং তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে পাওয়া যায় নি। তবে তার ছোট ভাই লক্ষ্মণ চন্দ্র সেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা পৈত্রিক হিসেবে সেখানে সাড়ে তিন শতাংশ জমির দাবিদার সেখানে ৭ শতাংশ জমিতে বাড়ি নির্মান করেছে আবার সুধীর চন্দ্র সেন আমার ভাইকে স্ট্যাম মূলে বাড়ির সকল আসবাবপত্র হস্তান্তর করে।তিনি আরও বলেন আমরা পারিবারিক ভাবে বসে মিমাংসার জন্য বারবার বলেছি কিন্তু পরিতোষ গুরুত্ব দেননি। এ দিকে গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের তারিখ অনুযায়ী বাড়ি এবং বাড়ির আসবাবপত্র জমিসহ ৩০০ টাকার স্ট্যামে পঞ্চমালাদি বিক্রয়র রশিদ নামে শিরোনামে লেখক জালাল ইসলাম নামের এক মহুরির নাম পাওয়া যায়, তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অকপটে বলে ফেলেন আমি আমার হাতের কিনা মনে নেই, স্ট্যামে মহুরির রেজি নং না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি প্রশিক্ষণ নিচ্ছি এখনো রেজি নং পাইনি। ১৪ নং রাজাগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি খবর শুনে ঘটনা স্থলে গেছিলাম, সেখানে গিয়ে দেখি পুলিশ অবস্থান করছে তারপর এস আই জাকিউল বাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে চাবি টা আমার কাছে আমানত হিসেবে রাখতে দেন। এ বিষয় এস আই জাকিউল ইসলাম বলেন পরিতোষ চন্দ্র সেন নামের এক ব্যক্তি পরি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে জানায় যে কিছু মুসলিম দুষ্কৃতকারী আমার বাড়িতে হামলা এবং ভাংচুর করছে। এ সংবাদে আমি সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কোন মুসলিম দুষ্কৃতকারী কিংবা সাম্প্রদায়িক কোন বিষয় না, ঘটনা তাদের পরিবারের লোকজনের সাথে। পরবর্তীতে যাতে আইন পরিপন্থী কোন ঘটনা না ঘটে সেই কারণে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলোচনা করে পরিতোষ চন্দ্র সেনকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বললে সে বের হয় এবং তাদের আলোচনা ভিত্তিতে স্থানীয় আহসান মাস্টারকে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে বাড়ির গেটের চাবি আমানত রাখা হয়েছে।
Leave a Reply