বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ: নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পার আধাইপুর মৌজার R/S ৩২১ নং খতিয়ান জেল নং ১৩৪ সুরেশ চন্দ্র চৌধুরী, পিতা রাম কোমল চৌধুরী, হাল সাং ভারত, পক্ষে ডেপুটি কাস্টডিয়ান এনিমি প্রোপারিটি পুকুর খনন করে মাটি কেটে ইট ভাটায় রাতের আধারে বিক্রি করছেন মাটি ব্যাবসায়ী মিঠাপুর ইয়াকুবিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মুকুল শাহ, ভান্ডার পুর এলাকার মাটি ব্যাবসায়ী মিঠু।
রাতের আধারে মাটি কাটায় রোজা রোমজান মাসে ইফতার করে নামাজ পড়ে ঘুমাতে গেলে গাড়ি ও ডেজারের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় শারীরিক মানসিক ভাবে এলাকার মানুষ অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে। এলাকার স্বচেতন মহল জানান রোজা রেখে ক্লান্ত শরীরে ঘুমের প্রয়োজন শুধু সরকারি কর্মকর্তার সাধারণ মানুষের জন্য ঘুমের প্রয়োজন নেই।
মাটি ব্যাবসায়ী দ্বয় জানান আমরা গাড়ি চুক্তি মাটি পুকুরের দাবিদার এমরুল,মুমিনুল পিতা দিল মোহাম্মদ এর কাছ থেকে ক্রয় করেছি। রাতে বেলা কেন মাটি কাটছেন জানার চেষ্টা করলে মাটি ব্যাবসায়ী গন বলে প্রশাসনিক ঝামেলার জন্য পুকুরের দাবিদার গন রাতে কাটছে। ইমরুল, মুমিনুল পিতা দিল মোহাম্মদ সুএে জানা গেছে উক্ত ৩২১ নং খতিয়ানের জমি ২৯/১/৬৫ ইং সালে ৮৭৯ নং দলিল মূলে নুর মোহাম্মদ, দিল মোহাম্মদ, আঃ রহিম, সিরাজ উদ্দিন, পিতা হাজি সফর আলী বিনিময় করেছেন মর্মে খতিয়ানের মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন।
স্থানীয় এলাকার স্বচেতন মহল সহ অখিল চন্দ্র বলেন ৩২১ নং খতিয়ানের মন্তব্যের ঘরের হাতের লেখা টি সঠিক না তাদের তৈরি করা মন্তব্য। সুরেশ চন্দ্র চৌধুরী হাল সাং ভারত পক্ষে ডেপুটি কাস্টডিয়ান এনিমি প্রোপারিটি জমি সত্য।
উক্ত পুকুর খনন মাটি ইট ভাটায় বিক্রি বিষয় টি কয়েক জন সাংবাদিক, অখিল চন্দ্র সহ স্হানীয় এলাকার সাধারণ মানুষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান সনি কে মোবাইল ফোনে বারংবার জানানো হলেও কোন আইন গত ব্যাবস্হা গ্রহন করেন নাই।
পুকুর খনন মাটি ইট ভাটায় বিক্রি করছেন বিষয় টি কোলা বদলগাছী ইউনিয়ন ভুমি অফিসার মিজানুর রহমান খতিয়ান সহ অবগত করানো হলেও সঠিক কোন ব্যাবস্হা নিতে পারে নাই। গত ২৫ মার্চ সরেজমিনে বদলগাছী সহকারী কমিশনার ভুমি এসিলেন্ড আতিয়া খানমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পুকুর খননে নিষেধ করেছি তারা রাতের বেলা কাটছেন, রাতের মোবাইল কোট করা ঝুঁকি থাকে। এনিমি প্রোপারিটি রক্ষা করার দায়িত্ব প্রশাসনের আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন তাদের বিনিময় কাগজ থাকতে পারে, সেই বিনিময় কাগজ সঠিক কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সঠিক তদারকি ও যাচাইয়ের জন্য ইউনিয়ন ভুমি অফিস নির্দেশ করেছি।
উক্ত বিষয়ে ইউনিয়ন ভুমি অফিসার মিজানুর রহমানের সঙ্গে সামনাসামনি জানতে চাইলে তিনি বলেন বিনিময় দলিল এবং দাগ সঠিক কি আমি দেখার চেষ্টা করছি,তিনি আরও বলেন আমি ডেজারের মালিক মুকুল শাহ কে মোবাইল ফোনে সময় দিয়েছি দুই ঘন্টার মধ্যে ডেজার পুকুর থেকে সরাতে হবে।কিন্ত ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও ডেজার পুকুর থেকে সরাতে পারেনি ভুমি অফিস।
সরেজমিনে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জানা গেছে বদলগাছী ছোট যমুনা নদীর বুক খুরে রাতের আধারে মাটি কেটে বিক্রি করছেন মথুরাপুর ইউনিয়নের নালুকাবাড়ী গ্রামের মাটি ব্যাবসায়ী ইব্রাহিম হোসেন। জাবারীপুর বাজারের পশ্চিম পাশে নদীর বুক খুরে রাতের আধারে মাটি কাটার বিষয়ে মোবাইল ফোনে ইব্রাহিম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ডেজার দিয়ে মাটি কেটে গয়েশ্বপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ভরাট করছি। তিনি আরও বলেন সম্ভবত মাঠ ভরাটে সরকারি প্রকল্প আছে কোন প্রকল্প সঠিক জানিনা তবে পিআইও অফিসের।
উক্ত মাঠে মাটি কাটার কোন প্রকল্প আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন মাঠ ভরাটের জন্য সাড়ে ৮ মেট্রিকট্রন গম বরাদ্দ আছে।
নদীর বুক খুরে রাতের আধারে মাটি কাটার বিষয় টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান সনির কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আইন গত সিদ্ধান্ত নিব ভাই।নদীর মাটি কাটছেন বিষয় টি আইন গত সঠিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আইন গত ভাবে বিষয় টি দেখব।
উপজেলার স্বচেতন মহলের মন্তব্য প্রশাসনের বিবেকের কর্তব্যের অবহেলায় সরকারি পুকুর ও নদীর বুকের মাটি মাটি ব্যাবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
Leave a Reply