জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ: নওগাঁ জেলার কৃতি সন্তান, সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে জৈষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও বা তিনি অনেক আগেই আপিল বিভাগের বিচারপতি হতে পারতেন। আসাদুজ্জামান ১৯৮৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আসাদুজ্জামান হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন। আসাদুজ্জামান ২৫ অক্টোবর ২০০১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট আসাদুজ্জামান হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন। আসাদুজ্জামানকে ২৭ আগস্ট ২০০৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০১২ সালের ১৫ জুন আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মাহমুদুল হককে হাইকোর্ট বিভাগে জামিন ও আপিল আবেদনের শুনানির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৩১ জুলাই আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমান ২০০৮ সালের কর ফাঁকির মামলায় গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ১০ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেন।
২০১৬ সালের ৭ জুন আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি আতাউর রহমান খান ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামকে জামিন দেন। আনামের বিরুদ্ধে ৬৫টি মানহানি ও ১৭টি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ ৮২টি মামলা রয়েছে।
২৬ নভেম্বর ২০১৭-এ আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি রাজিক-আল-জলিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মিনারকে জামিন দেন।
আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান ২৩ জুলাই ২০১৮ কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার সম্পর্কে মন্তব্যের বিষয়ে একটি মানহানির মামলায় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই জামিন দেন।২০১৮ সালের ৬ আগস্ট আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান কুমিল্লায় একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০১৫ সালের একটি হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
২০১৯ সালের ২০ জুন আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান ২০১২ সালের একটি হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে জামিন দেন।
১৪ অক্টোবর ২০২০ সাল-এ আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দো বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদের পরিবারের সদস্যদের জামিন দিতে অস্বীকার করেন।
২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দো সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন।
Leave a Reply