নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনী জেলা, সোনাগাজী উপজেলার কৃতি সন্তান ফেনী জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে সভাপতি এবং ইউকে যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মনির আহমেদ দীর্ঘ ১৫ বছর পর দেশের মাটিতে পা রেখে বিমানবন্দরে নেমেই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে আসলে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর তাকে উত্তরীয়, ম্যাডেল ও স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ১৫ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলাম। ফ্যাসিবাদের কারণে বিগত দিনে আশার ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারিনি। আমার অনেক প্রিয়জন বিগত ১৫ বছরে গুম ও খুনের শিকার হয়েছে। অনেকে বছরের পর বছর কারাগারে নির্যাতিত হয়েছে। আমরা লন্ডনে বসে প্রতিটি মুহুর্ত খবর রেখেছি। আমার এলাকার দুর্যোগে সাধ্যমত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। তিনি আরো বলেন, এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসব পালন করবো ফেনী সোনাগাজী ১ নং চর মজলিশপুর ইউনিয়ন তার নিজ গ্রামে নিজ পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা মোঃ আনোয়ার হোসেন টিপু, লন্ডন প্রবাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম রিবল, আবু নাসের শেখ, নজরুল ইসলাম মামুন, কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল, মেজবাহ উদ্দিন মিয়াজী, মো. পারভেজ সুমন, আব্দুল্লাহ আল মামুম গাজী, আতিকুর রহমান, আনোয়ারুল হক মানিক, রসুল উদ্দিন সুমন, কবির আহমদ, জাকের হোসেন রিয়াদ, টিপু সুলতান, ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম সরকার, সিয়ম আল মাহী, সাব্বির সাহাজী, মারুফ সরকার,শাহ আলম, এস কে তোহাসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে গাড়ীযোগে সরাসরি ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার নিজ বাড়ীতে গিয়ে মায়ের কবর জিয়ারত করেন এবং এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। আল্লাহর কাছে ফরিয়াত করে বলেন, যারা আমার মায়ের দাফন করার সুযোগ দেয়নি তাদের বিচার তুমি করো। যে মায়ের দোয়া নিয়ে আমি ২০১০ সালে লন্ডনে গিয়েছিলাম, আজ সেই মায়ের কবর ছাড়া কিছুই দেখতে পেলাম না। ঈদের পর পরেই তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজার জিয়ারত করবেন এবং গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের সংগঠন মায়ের ডাক এর নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
Leave a Reply