শফিক, বগুড়া: খাদ্যে ভেজাল ও রঞ্জকের ব্যবহার স্বাস্থ্যঝুঁকির কারন: শুরুতেই প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন?? খাদ্যে ভেজাল, মুনাফা লোভী ব্যবসাইদের দেখবে কে? এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে কে না চায়। আমাদের নির্মল পরিবেশের যেমন প্রয়োজন, তেমনি নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ অপরিহার্য। বর্তমানে বাজারে অনৈতিকভাবে খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ও অস্বাস্থ্যকর রাসায়নিক দ্রব্য ভেজাল ও রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করে সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছ। এর ফলে জনস্বাস্থ্য এখন হুমকির সম্মুখীন। স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ধারা চলতে থাকলে রোমানদের মতো বাংলাদেশেও একদিন বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে। রোমানরা অতিরিক্ত সিসার ব্যবহারে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দিয়েছে, বাংলাদেশে যেন এমনটি না হয়। খাদ্যে বিভিন্ন প্রকারের ভেজাল মেশানো হয় এর মধ্যে বাণিজ্যিক রং, এন্টিবায়োটিক, কীট ও বালাইনাশক, ফরমালিন, হেভি মেটাল উল্লেখযোগ্য। যেসব মাছ, গৃহপালিত পশু ও হাঁস-মুরগিকে অননুমোদিত দ্রব্য দিয়ে তৈরি খাদ্য খাওয়ানো হয়, সেগুলো মানবশরীরের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বাণিজ্যিক রং যা কাপড় কিংবা রঙের কাজে ব্যবহার করা হয়, তা বিভিন্ন ধরনের খাদ্য, যেমন আইসক্রিম, গোলা আইসক্রিম, লজেন্স, বেগুনি, বড়া, লাচ্ছা, সেমাই এছাড়াও বাচ্চাদের বিভিন্ন খাবারে ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফরমালিনে ডুবানো মাছ, মাংস, ফল ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যে পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে না বলে কয়েক দিন বেশ টাটকা দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ফরমালিন মাছের কোষের সাথে যৌগ তৈরি করে ফেলে। মাছ ধোয়া হলেও ঐ যৌগটি মাছের দেহে থেকে যায়। যা পরে রান্না করা মাছের সাথে মানবদেহে প্রবেশ করে। এই বিষাক্ত যৌগ নানা রকম জটিল রোগের উপসর্গের কারণসহ অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সার,যতকৃতে বিভিন্ন জাতীয় রোগের সৃষ্টি করে।
মজুত খাদ্যে এবং সবজিতে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। কীটনাশকের বিষাক্ততার সময় নষ্ট হবার আগেই দ্রব্যাদি বাজারজাত করলে বিষাক্ত খাদ্যের প্রভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। এতে শিশুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।। তাদের শরীরের বাড়ন্ত কোষে এই বিষাক্ত কীটনাশক বিরূপ প্রভাব ফেলে। ফলে একদিকে যেমন শিশুর মনের বিকাশ ব্যাহত হয়, অন্যদিকে তারা নানা রকমের অসুস্থতায় ভুগে থাকে। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে ড. মোহাম্মদ লতিফ বারী বিভিন্ন খাদ্যের পরীক্ষায় প্রচুর ব্যাক্টিরিয়া ও ছত্রাক প্রান ঘাতক জীবানু লক্ষ্য করেন। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য বিক্রি করছে, যা বাজারে সয়লাব। আবার, অনুমোদন থাকলেও যেমনে ইচ্ছে তেমনি প্রোডাকশন করে বাজারে মাল বিক্রি করছে। সব যেনো স্বাধীন, নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা নেই। প্রশাসন চুপ।
Leave a Reply