মোঃ ফরহাদ হোসেন, সারিয়াকান্দি, বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা বড়ইকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলে ভর্তি হওয়া কয়েকজন মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সফলতার স্বীকৃতি ও সফল হওয়ার গল্পের মাধ্যমে এআর একাডেমির উদ্বোধন, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভালো পর্যায়ে না গিয়ে বিভিন্ন কারণে ঝরে পড়ে যায়। তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। এই শিক্ষার্থীরা যেনো মেডিকেল কলেজ, ক্যাডেট কলেজ সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে এবং ভালো মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের মঙ্গল বয়ে আনতে পারে এই লক্ষ্যে এআর একাডেমির উদ্বোধন করা হয়েছে। ২১ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজ পর থেকে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে সকল শ্রেণির শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক মণ্ডলী, ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মহান আল্লাহর উপর ভরসা রেখে স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কিভাবে ভালো মানুষ হওয়া যায়, উৎসাহ উদ্দীপনা এবং সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে কিভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া যায় এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩-২৪ শিক্ষা বর্ষে অর্থনীতি বিভাগে অধ্যায়নরত মাহমুদুর রহমান হাদী ও শাহরিয়ার কামাল সাদি, মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ২৪-২৫ শিক্ষা বর্ষে জাতীয় মেধা তালিকায় ৩২ তম স্থান পাওয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সাবিত সাফওয়ান ঋদ্ধি ও মেধা তালিকায় ৩৭০ তম স্থান পাওয়া স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মুনতাসির আহমেদ। এই চার জন কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে এআর একাডেমির পক্ষ থেকে স্বীকৃতি ও সম্মাননা দেওয়া হয়। এআর একাডেমির পরিচালক কামরুল হাসান রুশো এর সভাপতিত্বে ও কুতুবপুর ক্রিয়েটিভ কেজি স্কুলের পরিচালক রোটারিয়ান মাসুদ করিম সবুর এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মথুরাপাড়া বছির কাজী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ রিপন, নিজাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম, কর্ণিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দিপন প্রামাণিক, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমরান আলী রনি, দিনাজপুর জেলা বিরামপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ এইচ এম তৌহিদুল্লাহ, যমুনা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক এনামুল হক, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লি. সিনিয়র এক্অ্যআকাউন্টস অফিসার সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। বক্তারা এআর একাডেমির সফলতা কামনা করেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক কথা বলেন। সুন্দর আয়োজন করায় এআর একাডেমির পরিচালককে ধন্যবাদ জানান বক্তারা। এআর একাডেমির পরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী কামরুল হাসান রুশো বলেন, গ্রামাঞ্চলের অনেক গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা অর্থের অভাবে জেলা শহরে গিয়ে মেডিকেল কলেজ, ক্যাডেট কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিতে পারে না। ফলে অনেকে ঝরে পড়ে যাচ্ছে। আমি ঐ সকল শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চাই। ক্ষুদ্র মেধা দিয়ে সহযোগিতা করে দেশের উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। কোনো বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ ও সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে তারা ভালো কিছু করতে পারবে। তিনি আরও জানান, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সামনের সারিতে আনা, বিভিন্ন চাকুরীর প্রস্তুতি মূলক শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা, টেকনোলজি অর্থাৎ প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে আমার প্রধান লক্ষ্য।
Leave a Reply