শায়েক আহমদ, জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার একমাত্র কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে ও যাবতীয় যোগ্যতার ভিত্তিতে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যাকে সকল কাজের প্রথমেই এগিয়ে রাখা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।
তিনি মৌলভীবাজার জেলা ইমাম সমিতির সম্মানিত সভাপতি।
আসুন সময় থাকলে উনার সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি, কে তিনি? কেনো উনি জেলার আলেমদের মধ্যে অন্যতম?
অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি মোঃ শামছুল ইসলাম
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার ৫নং ব্রাহ্মণ বাজার ইউনিয়নের অন্তর্গত হিংগাজিয়া গাজীপুর গ্রামে ১৯৬৮ সালের ৩০ এপ্রিল পিতা মরহুম ফুরকান মিয়া ও মাতা মরহুমা নেকজান বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষা জীবন: প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা হাতেখড়ি পিতা ও বড় ভাই মাষ্টার হারিছ উদ্দীন সাহেবের কাছে এবং তাদেরই তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। ছয় বছর বয়সে স্থানীয় গাজীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে ১৯৭৬ সালে হিংগাজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ধারাবাহিক লেখাপড়া করে ১৯৮২ সনে হিঙ্গাজিয়া সিনিয়র মাদরাসা থেকে দাখিল, অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৮৪ সনে ১ম বিভাগে আলিম, ১৯৮৬ সনে মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদরাসা থেকে ফাজিল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। তারপর কুতুবুল আওলিয়া, শাহ সুফী আল্লামা নেজামুদ্দিন চৌধুরী বিশকুটী (র.) এর দোয়া, অনুমতি ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১৯৮৭ সালে তিনি ঐতিহ্যবাহী ছারছীনা মাদরাসায় কামিল হাদীস বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৮৮ সালে কামিল হাদীস বিভাগে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণিতে বি. এ স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
১৯৯২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৯৯ সালে ফরাজিকান্দী আলিয়া মাদরাসা হতে কামিল ফিকহ বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। ২০০০ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে মেধাতালিকায় স্থানসহ প্রথম শ্রেণিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৯৮ সালে হযরত আল্লামা ফুলতলী (রহ.) এর কাছ থেকে দারুল কেরাতের সনদ লাভ করেন।
কর্ম জীবন: ১৯৯৪ সালে মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদরাসায় সহকারী মৌলভী পদে যোগদান করেন এবং এর পাশাপাশি মৌলভীবাজার কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব হিসেবে দায়িত্বর গ্রহণ করে অদ্যাবধি
Leave a Reply