নিউজ ডেস্ক: অভ্যন্তরীন নৌপথে ভাসমান গুদামের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং নৌপুলিশের সমন্বয় রুপসা মোংলা, হিরন পয়েন্ট সহ নৌরুটে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো: সিয়াম উল হক সাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকুলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জলদস্যুতা প্রতিরোধ, চোরাচালান দমন এবং নৌপথের সুরক্ষা নিশ্চিত করনে ২৪ ঘন্টা টহল যৌথ ও বিশেষ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে এ বাহিনী। সম্প্রতি পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে কোস্ট গার্ড বহি: নোঙর এবং অভ্যন্তরিন নৌপথে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং নৌপুলিশের সমন্বয় হিরন পয়েন্ট, হারবারিয়া, মোংলা, আংটিহারা, রুপসা ও নোওয়াপাড়া নোঙর এলাকা সংলগ্ন নৌরুটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ভোজ্যতেল এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যাদি বহনকারী জাহাজ / লাইটার সমুহ যাতে ভাসমান গুদামে পরিনত না হয়। পাশাপাশি এ সকল জাহাজ ট্যাংকার সমুহের বিভিন্ন নথিপত্র,আইএমও নম্বর, অগ্নিনির্বাপনী, আইটেম এবং লাইফ সেভিংস ইকুইপমেন্ট সমুহের সঠিক যাচাই করা হয়। এছাড়াও, বানিজ্যিক জাহাজ সমুহ যাতে নিরাপদে গন্তব্য পৌছাতে পারে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি নৌদুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিয়মিতভাবে কার্গো ও পর্যটকবাহী জাহাজ সমুহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সুনীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশীল করার লক্ষ্যে সমুদ্র, উপকুলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখছে কোস্ট গার্ড। দেশের অভ্যন্তরিন বাজারকে স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে কোস্ট গার্ডের এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply