শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের দিকপাড়া গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে এনামুল হক ওরফে নিয়ামত আলী ও তার ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম এবং অপর সহযোগি একই ইউনিয়নের জঙ্গলদী গ্রামের হানিফ উদ্দিনের ছেলে মাহবুব বহু প্রতিভার অধিকারী পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক, গ্রাম্য ডাক্তার। এছাড়াও তিনি ওই পিতা ও পুত্রের সাথে সেও অবৈধভাবে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজ করে যাচ্ছন। এই তিন অবৈধ কাজীর দৌরাত্বে বাল্য বিবাহ কনে এবং বর পক্ষের মধ্যে নিকাহ বিচ্ছেদসহ আইন আদালত বিষয়ে মানুষ নানা সমস্যা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের বৈধ নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে মলু হুজুর অসুস্থ্য জনিত থাকায় এরই সুযোগে ওই ইউনিয়নের দিকপাড়া গ্রামের এনামুল হক ওরফে নিয়ামত আলী তার ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম এবং অপর সহযোগি মাহবুব প্রায় ৫/৬ মাস ধরে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বাল্য বিবাহসহ অবৈধভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ও তালাক নামার কাজ করে যাচ্ছেন। এতে করে ওই তিন সংঘবদ্ধ অবৈধ কাজীর দৌরাত্বে মানুষ আইনগতভাবে নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে মলু হুজুরের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ ওই তিন অবৈধ কাজী প্রায় ৫০টির অধিক অবৈধ বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করেছে বলে সত্যতা পাওয়া গেছে।
এদিকে এসব বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ আনিসুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এনামুল হক ওরফে নিয়ামত আলী তার ছেলে নজরুল এলাকায় অবৈধভাবে বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন করছেন বলে তিনিও অভিযোগ পেয়েছেন। এছাড়াও এনামুল হক ওরফে নিয়ামত আলী বেশকয়েক বছর পূর্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নিকাহ রেজিস্ট্রার পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন এবং সে যদি বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন তা সম্পূর্ণ অবৈধ বলে তিনি এমনটাই জানান।
অপরদিকে চরপক্ষীমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, এনামুল হক ওরফে নিয়ামত আলী, তার ছেলে নজরুল ইসলাম ও সহযোগি মাহবুব ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামসহ আশপাশ এলাকায় অবৈধভাবে বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন করছেন বলে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন।
একই ইউনিয়নের কুলুরচর গ্রামের আঃ রশিদ জানান, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বাতিল হওয়া নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) এনামুল হক ওরফে নিয়ামত আলী গংরা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে যে ভলিয়ম বর্হি দিয়ে অবৈধভাবে বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশনের কাজ করে যাচ্ছে তার সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনী এবং এসব ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি এমনটাই মন্তব্য করেন।
Leave a Reply