নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজীপুরের মেট্রো সদর থানা এলাকার শিমুলতলী আর্মি ফার্ম ফ্যাক্টরীর মাঠে লটারি নামে চলছে অবৈধ জোয়ার ব্যবসা। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টিকেট বিক্রি করা হয়, যার টাকার অংকে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। অধিকাংশ টিকেট ক্রেতারা হলেন, স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, অটোরিক্সা, সিএনজি ও ভ্যানচালক, গার্মেন্টস শ্রমিক ও দিনমজুর রাস্তার ভিক্ষুক এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। লটারীর নামে ক্রেতাদেরকে বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে শ্রমজীবী, ছাত্র সমাজ ও নিম্ন শ্রেণীর লোকজনকে ঠকিয়ে অবৈধ জোয়ার ব্যবসা পরিচালনা লাভবান হচ্ছেন লটারীর নামে জুয়ার আয়োজক ও অন্যান্য কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতাগণ। উক্ত জুয়ার কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রছাত্রীগণ। প্রতিদিন সমগ্র এলাকায় মাইকের উচ্চ শব্দে লেখাপড়ার বিগ্ন সৃষ্টি হচ্ছে এবং রাত দশটার পর টিভির সামনে বসে অপেক্ষা করে লটারী প্রাপ্তির আসায়। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও মাইকের উচ্চ শব্দে পরিবেশও দূষণ হচ্ছে। এ বিষয়ে ৩০ জানুয়ারী দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম “গাজীপুরের শিমুলতলা গ্রামে মেলার নামে চলছে অবৈধ ব্যবসা”। প্রকাশ্যে জুয়া আইন ১৮৬৭ ধারা ৩ এ যদিও ইহা নিষেধ তারপরও ক্ষমতা অপব্যবহার করে চলছে এ জুয়ার ব্যবসা।
উক্ত সংবাদের কপি গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বরাবর হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে পাঠানো হলেও অধ্যবধি কোন আশানুরূপ পদক্ষেপ নেয়নি। প্রকাশিত সংবাদটি গাজীপুর জেলা প্রশাসককে ২ জানুয়ারি শুক্রবার বেলা ১২ঃ০৬ মিনিটে পাঠানো হয়। পরে শনিবার উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা জানতে জেলা প্রশাসনকে তিনবার, রবিবারে পাঁচবার এবং সোমবারে তিনবার ফোন দিয়েও জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে কোন সারা মিলেনি। যদিও রবিবারে জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ফোনটি রিসিভ করে উনি বলেন জেলা প্রশাসক স্যার মিটিংয়ে আছেন। পরে সংবাদের বিষয়টি জানতে চাহিলে তিনি বলেন, স্যার অবগত আছেন। কিন্তু পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক কোন যোগাযোগ করেননি এবং আমার ফোনও রিসিভ করেননি।
একজন সংবাদকর্মী যদি জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হন এবং তিনি যোগাযোগ না করেন, তাহলে কিভাবে পাবে অত্র এলাকা জনগণের সেবা। গাজীপুরের জেলা প্রশাসনের কারণে গাজীপুরবাসী অসহায়ত্বে দিনাতিপাত করিতেছেন বিধায় উর্ধতন কতৃপক্ষের নজরে এনে জনগনের প্রকৃত সেবা দানে সহায়তার কামনা করছেন গাজীপুবাসী।
Leave a Reply