মো: রিয়াজুল ইসলাম।।
সংবাদপত্র বা সাংবাদিক কথাটি শুনলেই মানুষের মধ্যে স্বস্তি আসে হয়ত এর মাধ্যমেই জনসাধারণের সমস্যার সমাধান হবে। সত্য সম্পর্কে সবাই জানতে পারবেন। আসলে কি তাই? অবশ্য অনেক সংবাদপত্র বা সাংবাদিকেরা তাদের পেশাগত কাজের দায়িত্ব ও সম্মানার্থে এ কাজটিই করে থাকেন। কথা হলো বর্তমানে আমাদের দেশে অনলাইন ও অফলাইন মিলে কত সংবাদপত্র আছে অবশ্যই এগুলোর হিসাব অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে আছে। এখন আসি তদারকির কথায়, আসলেই কি উনারা প্রকৃত সংবাদপত্র বা সাংবাদিক? সব সংবাদমাধ্যমই কি সেটা অনলাইন বা অফলাইন যাই হোক নিয়মিত তাদের সংবাদ প্রচার করে? সব অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের কি অনলাইন সংবাদ প্রকাশ করার সফটওয়্যার আছে? থাকলেও তারা কি নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করে? সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নজরদারির দাবি করছি। এবার আসি মূল ইস্যুতে, আমি একজন সংবাদপত্র কর্মী হওয়ায় মিরপুরে ১৭ বছর পর একটি নাম করা সমবায় সমিতির কার্য নির্বাহি পদে নির্বাচন হবে। আমি সংবাদপত্র কর্মী হওয়ায় দায়িত্ব দেওয়া হলো মিডিয়ার ব্যাবসথা করা। যেহেতু মিরপুর তাই আমি মিরপুরের সংবাদ মাধ্যমের একজন উচ্চপদস্থ সংবাদকর্মীর স্বরনাপন্ন হলাম। উনি মিরপুরের একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকের মোবাইল নম্বর দিলেন। আমি মোবাইলে কথা বলে উনাদের অফিসে গেলাম, কথা বল্লাম। উনারা রিপোর্ট করার জন্য একটা টাকার এমাউন্ট দাবি করলেন। যেন বিয়ে বাড়ি বা জন্মদিনের ভিডিও করতে যাবেন। যাই হোক দরকষাকষির মাধ্যমে একটা এমাউন্ট এ যেতে রাজি করালাম। এটা কি সাংবাদিকতা? উনারা ১০ই জানুয়ারি গেলেন, রিপোর্ট নিলেন। সাথে ঐ লাইনে তিতাসের গ্যাসের সমস্যা আছে, মিডিয়ার লোক দেখে সবাই ইস্যুটা মিডিয়াকে জানাতে চাইলেন। উনারাতো ভিডিও করবেনই না। অনেক রিকোয়েস্ট করে ভিডিও করালাম। আজ ২১ই জানুয়ারি, এই পরযন্ত কোথায় ঐ রিপোর্ট পাবলিশ করা হয়েছে, এতো ফোন করেও ঐ মিডিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট কেউই জানতে পারেননি। আমি সংবাদকর্মী হিসেবে অসহায় হয়ে গেছি। যেহেতু সমিতিটি রেজিষ্ট্রেশনকৃত, তিতাস গ্যাসের রিপোর্ট তো বাদি দিলাম। পরিচয় দানকারী উচ্চপদস্থ সংবাদকর্মীর নাম ও সংবাদপত্রের নাম জানাতে একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমি লজ্জা বোধ করছি। মূল কথা হল, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে সঠিক নজরদারি না থাকলে এসব নামধারী সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিকদের জন্য দেশের জনসাধারণের কাছে সকল সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকগণ একটা আতংকের নাম হয়ে উঠবে।
Leave a Reply