নাহিদা আক্তার পপি: গত রবিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন দেবপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষা নিজাম উদ্দিন স্যার এ সময় উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ
নতুন প্রজন্মের সঙ্গে দেশি পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতে এমন আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা।
শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে তৈরি বিভিন্ন পিঠার সমারোহে বিদ্যালয় ক্যাম্পাস আমন্ত্রিত অতিথি ও অভিভাবকদের পদচারনায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। পিঠা উৎসবে পাঁচটি স্টলে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রীরা ভাঁপা পিঠা, পুলি পিঠা, চিতই পিঠা, ফুল পিঠা, ডিম পিঠা, সই পিঠা, কাঁটা পিঠা, রসের পিঠাসহ অন্তত একশত প্রকারের পিঠা ছিল।
পিঠা উৎসবে স্থান পেয়েছে জিরা পিঠা, ভাপা, নকশি, চিতই, পাঠিসাপ্টা, জামাই বরণ পিঠা, ডাল ও ডিম সুন্দরী পিঠা একশত পিঠার সমারাহ। উৎসবে ভিড় জমান আশে পাশের স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
আয়োজকরা জানান, পিঠা-পুলির এ ধরনের সমারোহ সবসময় তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করে। পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে স্টলে বিক্রি করার মাঝেই আনন্দ তাদের। এতে তরুণরা বিভিন্ন পিঠার সঙ্গের পরিচিত হতে পারছে।
ঐতিহ্যবাহী একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি বাহারী রকমের পিঠা নজর কেড়েছে সকলের।
গ্রাম বাংলার মানুষের চিত্ত বিনোদন ও নির্মল আনন্দ উপভোগের জন্য বছরের অধিকাংশ সময় আয়োজন করা হতো বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের। এখন আর এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় না। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সেই হারানো ঐতিহ্য আবারো ছাত্রীরা ফিরে নিয়ে আসবে এমনটিই মনে করেন আয়োজকরা। দিনব্যাপী এই উৎসবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সমাগম ঘটে।
Leave a Reply