মো: রিয়াজুল ইসলাম: ছাত্র সমাজের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশে ৫ ই আগস্ট থেকে বৈষম্য বিরোধী একটা সংগঠন তৈরি হয়েছে। নামটি এখন সবার মুখে মুখে। ছাত্র সমাজ ও দেশের নানা পেশার মানুষ এ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জন্য অনেক রক্ত ঝরিয়েছিল। অনেক মায়ের বুক খালি হয়ে ছিল। এই শহীদদের ত্যাগ সারাজীবন জাতি বুকে ধরে রাখবে। এখনও অনেকে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। অনেকে আবার তাদের চোখ/হাত/পা হারিয়ে পংগু হয়ে আছে। যদিও দেশের সকল আন্দোলনে এই ছাত্র সমাজই সবার আগে পথে নেমেছে। বুক পেতে দিয়েছে দেশেকে স্বাধীন বা সকল প্রকার অরাজকতার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে। এর মধ্যে দুই জন ছাত্র সমন্বয়ক দেশকে সংস্কার করার জন্য বর্তমানে উপদেষ্টা প্যানেলে আছেন। বাকি সমন্বয়কগণ সরাসরি সব উপদেষ্টা মন্ডলির কার্যক্রম পর্যালোচনা ও দেশকে সংস্কার করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান উপদেষ্টাগণ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদ এবং আহতদের তালিকা তৈরি করে যাচ্ছেন, যা প্রশংশণীয়। এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে, আসল সমন্বয়কদের তালিকাও জাতির সামনে পেশ করা। সরকার পরিবর্তনের পর এখন ঘরে ঘরে সমন্বয়ক তৈরি হয়েছে । সাধারণ জনগণ তাদের দেখে ভয় পায়। কারন তাদের অনেকে আগে সমাজে নানা রকমের অরাজকতার সাথে জড়িত ছিল। এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হওয়ার সমন্বয়কের তকমা গায়ে লাগিয়ে আরো হিংস্র হয়ে উঠেছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আসল সমন্বয়ক, যাদের রক্তের বিনিময়ে এই পরিবর্তন এতো ত্যাগ সব বৃথা যাবে। এ ব্যাপারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কগণ ও বর্তমান উপদেষ্টা মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Leave a Reply