রহমত -ই- খোদা, নিজেস্ব প্রতিনিধি: ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি’র মোদি সরকার ২০১৪ সালের পর থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী অধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে ভারতবর্ষে জাতিগত হিংসা প্রতিহিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিয়ে ভারতের বিজেপি নিয়ন্ত্রণ মিডিয়া মিথ্যা গুজব প্রচার করে বিজেপি কে সহযোগিতা করে আসছে। ১৯৯২ সালের পর থেকে ভারতে বসবাসকারী মুসলিম সংখ্যালঘু উপজাতির উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের জঙ্গি সংগঠন আরএসএস। এই আরএসএস এর মুল প্রতিষ্ঠাতা ব্রিটিশ কোম্পানি, প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছিলো মুল সনাতনীর বিরুদ্ধে এবং ভারতবর্ষের হিন্দু মুসলিম ঐক্যের বিরুদ্ধে দাড় করার জন্য। হিন্দু মুসলিম ঐক্য ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিলো ব্রিটিশ বিরোধী প্রথম মুসলিম ফকির মজনু শা্হ নেতৃত্বে যেখানে হিন্দু সন্যাসীরা ফকির মজনু নেতৃত্বে সাড়া দিয়ে মুসলিম হিন্দু ঐক্য বদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলো, যা দেখে ব্রিটিশ কুচক্রীর ভয় পেয়ে গিয়েছিলো, এভাবে হিন্দু মুসলিম এক থাকলে ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশদের চলে যেতে হবে। ব্রিটিশটা তখনও সফল আর ব্রিটিশদের পেটে ১৯২৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস উগ্রবাদীতে বিশ্বাস এই সংগঠনের পেটে জন্ম বিজেপি বা ভারতীয় জনতা পার্টি। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার মধ্যে দিয়ে আরএসএস ও বিজেপি মুসলিমদের ইতিহাস মুছে দিতে এবং মুসলিম নিধনযজ্ঞের নতুন এক সুচনা করেছে। ভারতের রাষ্টীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে কোনো ভূমিকাই রাখেনি RSS এবং কংগ্রেস। RSS ভারতে কয়েকটি সাম্প্রদায়িক ডাঙ্গা বাধিয়েছে এবং জঙ্গিপানার দ্বায়ে তিন বার নিষিদ্ধ হয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি। বর্তমানে বাংলাদেশে এবং কলকাতায় সাম্প্রদায়িক ডাঙ্গা বাঁধিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য করার নগ্ন ষড়যন্ত্রের বলি বানাচ্ছে বাংলাদেশের সনাতনীদের নিয়ে মিথ্যা নির্যাতনের গুজব ছড়িয়ে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতির মুক্তিকামী নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে বাংলাদেশ কে রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বাঙালি জিন্দাবাদ।
Leave a Reply