সালাম হোসেন,ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ০২ নং মধুহাটি ইউনিয়নের বেড়াশুলা গ্রামে পাওনা টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ ওঠেছে।শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগি মামুন হোসেন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে উল্লেখ করেন, আসামী ১. বিল্লাল (৩৪), পিং মৃত মোতালেব, ২.শরিফুল (৪৮), পিং মৃত সায়েম মন্ডল, ৩. মইদুল (৫২), পিং মৃত মহা, ৪. হাবিবুর (২৪), পিং মৃত মোতালেব, ৫. রিয়াজ (১৮), পিং শরিফুল ইসলাম, ৬. ওকি (৫৩), জং মৃত মোতালেব হোসেন, সর্ব সাং বেড়াশুলা, ডাকঘরঃ চন্ডিপুর বাজার, থানা ও জেলা- ঝিনাইদহ।আমার পিতা গোপনে ৪নং ও ৬ নং আসামীদের নিকট হইতে কানাডা দেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু তাদেরকে বিদেশে পাঠাতে পারে নাই।আসামীগণ জানতে পারে আমার পিতা আমার ফুফুর বাড়িতে অবস্থা করছে গত ২৭/১১/২০২৪ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় একই গ্রামে আমার ফুফু বাড়ি হইতে আসামীগণ একত্রে হয়ে আমার পিতাকে ধাওয়া দিলে সে পালিয়ে যায় তার পর হইতে তার কোন খোজ খবর পাওয়া যায় পাওয়া যায় নাই । ৩০/১১/২০২৪ তারিখ সকাল ১২:০০ ঘটিকার সময় আসামীগণ আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার নিজ বাড়িতে দেশিয় বিভিন্ন অস্ত্র যেমন বাশের লাঠি, দা, কুড়াল প্রভৃতি নিয়ে এসে আমার বাড়ি ভাংচুর করে।এসময় আমার স্ত্রী ও মা তাদেরকে বাধা দিতে আসলে আসামীগণ আমার মা ও স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়।আসমিগণ অত্যন্ত খারাপ, দাঙ্গাবাজ,ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা যে কোন সময় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে খুন জখমসহ আরো যে কোন বড় ধরণের ক্ষতি করিতে পারে।বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। এমতাবস্থায় আইনী সহায়তা একান্ত প্রয়োজন।এ বিষয়ে বিবাদী বিল্লাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ওখানে যায়নি আমার মা সহ অনন্যা মহিলারা সকালে গিয়েছিলো,তবে যাওয়ার পর কি হয়েছে আমি জানি না।ঝিনাইদহ সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা আল- মামুন জানান,অভিযোগটি এখনো আমার টেবিলে আসেনি।অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply