নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অকৃতিম বন্ধু মহান মানবিক দেশ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর ১০৭তম জন্ম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪ ঘটিকায় দারুস সালাম আর্কেট মেঘনা-৪, পুরানা পল্টন, ঢাকা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল ।
বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি মহসীন স্বপন, সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী কবি সাহিত্যিক এডভোকেট আব্দুল হক চাষী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক তাজুল ইসলাম, রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব তালেবুর রহমান, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, সমতা পার্টির সভাপতি প্রকৌশলী শামসুল হক, নারী নেত্রী এলিজা রহমান বরিশাল বিভাগ সমিতির সদস্য নকিব হক, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি ফাতেমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
সভাপতি ভাসনে এম এ জলিল বলেন মানবতা বিরোধী দেশ পাকিস্তানের শোষন শাসন থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়যুক্ত হন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগঠন আওয়ামী লীগ। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বিশ্বের নিয়মনীতি না মেনে বাংলাদেশের নিরস্ত্র নিরীহ জনগণের উপর পাকিস্তানের শাসক সামরিক জান্তার প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সশস্ত্র যুদ্ধ ঝাঁপিয়ে পড়ে তখনই মহান ভারতের জনগণ, সরকার ও বিশেষভাবে তৎকালীন ভারতে প্রধানমন্ত্রী আধুনিক বিশ্বের মানবিক সেরা রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের নির্যাতিত নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ান। বাংলাদেশের অসহায় ১ কোটি জনগণকে ভারতে আশ্রয় দেয়, খাদ্য দেয় বাসস্থান দেয় এবং চিকিৎসা দেয় এই জন্য ভারতের জনগণ, সরকার ও মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বাংলাদেশের জনগণ চির ঋণী, এর পর ভারত সরকার ও ভারতে জনগণ বাংলাদেশের প্রবাসী মুজিবনগর সরকার গঠন করে ১০ এপ্রিল ও ১৭ এপ্রিল সরকার শপথ করার জন্য বিশেষ সহযোগীতা সাহায্যের ব্যবস্থা কারে এর পরে প্রায় ৫ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিণ দেয়, যুদ্ধের জন্য অস্ত্র দেয় এবং আজকে এই দিনে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ও ভারতের সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীরা একাকার হয়ে যুদ্ধ করে এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় হয়। সেই মুক্তিযুদ্ধে মহান ভারতের ১৪ হাজার তিন বাহিনীর লোক নিহত হয়। এই ১৪ হাজার লোকের রক্তে ভেজা স্বাধীন বাংলাদেশের মাটি, এই জন্য বাংলাদেশের জনগণ চির ঋণী। স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ মহান ভারতের জনগণ সরকার ও তৎকালীন ভারতে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বিশেষভাবে স্মরণ করে ১৪ হাজার সেনাদের রক্তে বাংলার মাটি রঞ্জিত হয়েছে তাদেরকেও ৭১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মহান ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব অটুট আছে। বর্তমানে আমরা দেখতে পাই বর্তমান তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭০ বছরে সীমান্ত সমস্যা সমাধান করেছে এবং যখন যে সমস্যা হয় তার সমাধানের জন্য কাজ করেন বাংলাদেশের জনগণ ভারতের কাছে চিরঋণী। বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্ব অটুট থাকবে চিরদিন।
Leave a Reply