নিজস্ব প্রতিবেদকঃ না ফেরার দেশে চলে গেলেন ষাটের দশকের কবি, আলোকিত নারী ও সমাজসেবিকা হোসনে আরা হোসেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
মৃত্যুকাল তিনি স্বামী এ বি এম মকবুল হোসেন, দুই ছেলে সিনিয়র সাংবাদিক সুমন মাহমুদ ও আরিফ হোসেন টিপু এবং এক মেয়ে ফরিদা কানিজকে রেখে গেছেন। কবির মৃত্যুর বিষয়টি তার বড় ছেলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সুমন মাহমুদ নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাকে ভর্তি করা হয় স্কয়ার হাসপাতালে। দীর্ঘদিনে সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত কয়েক বছর যাবত নিউরো, হৃদরোগসহ বাধর্ক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। সর্বশেষ গত ১৩ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্টের সম্রান্ত মিয়া বাড়িতে ১৯৫০ সালের ১৫ আগস্ট জন্ম হোসনে আরার। তার বাবা আহমদ উল্লাহ এবং মা দেলোয়ারা আফরোজ চৌধুরীর মেঝ মেয়ে ছিলেন তিনি। বাবা আহমদ উল্লাহ কুমিল্লার বিখ্যাত আইনজীবী ছিলেন। ষাটের দশকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশ-সমাজ-প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ও ছোট গল্প রচনা করে পরিবারের মধ্যে আলোচিতও হন হোসেনে আরা।
বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা আহমদ উল্লাহ-দেলোয়ারা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট্রের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি। সমাজ পরিবর্তনের বিভিন্ন জনহিতকর কাজের সাথেও সম্পৃক্ততা ছিলো হোসনে আরার। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন।
নেতৃবৃন্দ মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
Leave a Reply