নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের খালিয়া গ্রামে মতিন সরদার এর কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি এবং চাঁদা না দিলে বেঁধে রাখার হুমকি দিলেন, কথিত ফেসবুকের প্রচারের সাংবাদিক জসিম উদ্দীন। জানা যায় মনিরামপুর উপজেলার ৯নং ঝাঁপা ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের সরকারি বরাদ্দের ১০টি ঘর খালিয়া গ্রামে ১০ ব্যক্তির নামে দিবে। ঘর বরাদ্দের ১০ দশ হাজার টাকা করে দেয় ১০ জন গ্রাহক। এই ঘরগুলো মনিরামপুর উপজেলার ৯নং ঝাঁপা ইউনিয়নের সরকারি ২২৩ টি বরাদ্দকৃত ঘর।
এরমধ্যে ১,২,৩,৪,৫,৬, ওয়ার্ডে সর্বমোট ১০৫টি ঘর তৈরি করা হযয়েছে। বাকি ১১৭টি ঘর মুজিব বর্ষের গৃহহীনদের ঘর তৈরীর কারণে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। বরাদ্ধকৃত ১১৭ জন ঘর না পাওয়ার কারণে তারা টাকা ফেরতের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তবে খালিয়া গ্রামে ১০ ব্যক্তির কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু টাকা গুলো বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে সংগ্রহ করে। ভুক্তভোগীরা ঘর না পাওয়ার কারণে মতিন সরদারকে চাপ সৃষ্টি করে। মতিন সরদার ১০ ব্যক্তির মধ্যে ৫ ব্যক্তিকে দশ হাজার করে মোট পঞ্চাশ হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকী ৫ব্যক্তিকে মতিন সরদার আমন ধান উঠলে ফেরত দিবেন বলে আস্বস্ত করেন। এই সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে কথিত ফেসবুক প্রচারের সাংবাদিক জসিম উদ্দীন ছেলে তৈলে বেগুনে জ্বলে উঠে এবং এই সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ফেসবুক প্রচার সাংবাদিক মতিন সরদারের সাথে সাক্ষাৎ করেন। বাকি পাঁচ ব্যক্তির টাকা সময় নেয়ার সত্বেও তিনি অভিনব কায়দায় দুই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে বলেন আমি টাকা আদায় করে দেব।
ইতিমধ্যে ফেসবুক প্রচারের সাংবাদিক জসিম উদ্দীন মতিন সরদারকে জিম্মি করে তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং মতিন সরদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় কথিত সাংবাদিক জসিম নিজ ফেসবুক আইডিতে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল করেন। এ ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে এই ধুনন্দর কথিত ফেসবুকের প্রচার সাংবাদিক এর খুটির জোর কোথায় ?
এ বিষয়ে আব্দুল মতিন সর্দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়া চলমান রয়েছে ৫ জনের ১০.০০০ করে টাকা ফেরত দিয়েছি এবং বাকি ৫ জনের টাকা এই আমন ধান উঠলে দিয়ে দিব।
জানা যায় কথিত সাংবাদিক জসিম উদ্দীন দৈনিক স্পন্দনের রাজগঞ্জ প্রতিনিধি। এই সাংবাদিক, সাংবাদিকের আড়ালে নিজে একটা রাজনৈতিক বিএনপি দলের সাথে সম্পৃক্ত। বৈশম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে বিএনপির দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ক্ষমতার দাপটে এসব করে বেড়াচ্ছে এই মুখোষধারী সাংবাদিক জসিম উদ্দীন। এহেন কর্মকান্ডের জন্য সাংবাদিক জসিম উদ্দীনের হাত থেকে রেহায় পেতে এই খেটে খাওয়া মতিন সর্দার সরকারি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply