1. masudkhan89@yahoo.com : Ghoshana Desk :
  2. zunayedafif18@gmail.com : Mahir Al Mahbub : Mahir Al Mahbub
  3. masudkhan89@gmail.com : Masud Khan : Masud Khan
কলাপাড়ায় ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারের পুনর্বাসনের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন - দৈনিক ঘোষণা
ব্রেকিং নিউজ :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম যাবে চীনের বাজারে, খুশি চাষিরা নওগাঁয় ১৭১৯ কেজি সরকারি চাল জব্দ অবৈধ অভিবাসন রোধ ও পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় দু’জন শিক্ষার্থী’র মৃত্যু পীরগঞ্জে রাস্তা সংস্কার কাজের ঠিকাদারী পেলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী পলাতক আ’লীগ নেতা! কেসিসির নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে মঞ্জুর করা মামলার শুনানি ৪ মে। বাবা-মেয়েকে অপহরণ করে নির্যাতনের দায়ে চাচা-ভাতিজার বিরুদ্ধে মামলা, প্রাণনাশের হুমকিতে পরিবার পলাশ উপজেলা বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা না করতে পেরে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। শিশুদের সাথে সব সময় ইতিবাচক আচরন করতে হবে, কেএমপি পুলিশ কমিশনার। গফরগাঁওয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

কলাপাড়ায় ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারের পুনর্বাসনের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৩১ দেখেছেন

মো: নূরুল আমিন, কলাপাড়াঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৩৬টি ভূমিহীন পরিবারের পুনর্বাসনের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় পায়রা বন্দরের সামনে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, লাইলি বেগম, শাহিনুর বেগম, রাজিয়া বেগম, সালেয়া বেগম, আখি বেগম, ফাতেমা বেগম, ফিরোজা বেগম ও মোঃ আনসার প্রমুখ। এসময় ১৩৬টি ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের সহযোগিতার করার আশ্বাস দেন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী। এমন আশ্বাস পেয়ে কিছুটা হলেও শান্তির নি:শ্বাস ফেলেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাসকারী জিয়া কলোনীর ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা পুনর্বাসনের দাবীতে মিছিলসহ পায়রা বন্দরের গেটে অবস্থান নিয়ে তারা পুনর্বাসনের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন । এক পর্যায়ে বন্দরের চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনার জন্য ৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে যান। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতিনিধি মোঃ ইব্রাহিম শিকারী, মোঃ ফোরকান হাওলাদার, লাইলী এবং কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চের সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম। প্রতিনিধি দল পায়রা বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে পুনর্বাসনের দাবীতে লিখিত আবেদন জমা দেন। বন্দর চেয়ারম্যান আবেদন গ্রহণ করে পায়রা বন্দরের উর্ধতন ৪ জন কর্মকর্তাসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে কথা বলেন। এই সময়ে ভূমিহীন পরিবারের প্রতিনিধিদের সাথে ৩০ মিনিটের বেশী কথা বলেন পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান। ভূমিহীন পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে তার দিক থেকে আইনী জটিলতার কথা বলেন। সেই সাথে পায়রা বন্দর মানবিক দিক বিবেচনা করা পুনর্বাসনের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভূমিহীন পরিবারকে জিয়া কলোনীর ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারকে ভেকু নিয়ে উচ্ছেদ করতে আসে। ওই সময়ে পুনর্বাসনের দাবীতে বিক্ষোভের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লোকজন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেসবুকের মাধ্যমে পুনর্বাসনের আগে উচ্ছেদ না করার জন্য নির্দেশনা দেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের বসবাসকারী এই পরিবারগুলো উচ্ছেদ করছে, পরিবারগুলোকে কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন না দিয়ে।

বিগত দুই দশক আগে তৎকালীন সরকার বাস্তুভিটাহীন হওয়ার কারণে ভূমিহীন পরিবারগুলোকে বসবাসের জন্য ইটবাড়িয়া গ্রামে আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধের ঢালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে কলোনী করে থাকার সুযোগ করে দিয়েছিল। সেই সময় থেকে তারা দীর্ঘদিন ধরে বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাস করে আসছে। ফলে ভূমিহীন মুক্ত কলাপাড়ায় নতুন করে ১৩৬টি পরিবার নতুন করে ভূমিহীন হবে। সম্প্রতি পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল থেকে পায়রা বন্দর প্রশাসনিক ভবন হয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা আঞ্চলিক সড়কের সাথে যুক্ত হওয়ার বিকল্প সড়ক হিসাবে পায়রা বন্দরের গেট থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পর্যন্ত বেড়িবাঁধের উপর রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এই রাস্তা নির্মাণ করতে কলোনীসহ বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাসকারী ১৩৬টি পরিবারকে উচ্ছেদ করবে।

বিক্ষোভের সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা জানান যে, আমরা বেড়িবাঁধের বাইরের দিকে বসবাস করার ফলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং বর্ষাকালে জোয়ার-ভাটার পানিতে প্লাবিত হওয়া আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। তারপরও মাছ ধরে, ইট ভাটায় কাজ করে, নির্মাণ শ্রমিক এবং কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করে টানা পোড়নের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করে আসছি। নিজের কোন জমি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাস করে আসছি। এই জমির মালিক বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড তাই আমাদেরকে উচ্ছেদ করা হলেও কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন করা হবে না বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই পরিস্থিতিতে মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয় হারালে আমাদের জীবন ধারণ সম্পূর্ণভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। উচ্ছেদের পরে আমরা কোথায় থাকবো, কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

কলাপাড়া উপজেলায় বৃহৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে পায়রা বন্দরে ক্ষতিগ্রস্থ ৩,৪২৩ টি পরিবারকে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। অন্য দিকে এ ভূমিহীন পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করা হলেও কোন ধরনের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ অথবা সহযোগীতা করা হচ্ছে না।

ইতিপূর্বে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্বরে বিশাল মানববন্ধন করে পুনর্বাসনের দাবী জানান। পরবর্তীতে পুনর্বাসনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে আবেদন করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র সাথে বারবার আলোচনা করার পরও কোন সমাধান হয়নি। কোন সমাধান না করেই তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একই রকম সংবাদ
© সকল স্বত্ব দৈনিক ঘোষণা অনলাইন ভার্শন কর্তৃক সংরক্ষিত
Site Customized By NewsTech.Com